ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

চালু হলো চিলাহাটি এক্সপ্রেস

চালু হলো চিলাহাটি এক্সপ্রেস

‘মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনী রাস্তাঘাট ব্রিজ কালভার্ট সবকিছু ধ্বংস করে গেছে। তবে বঙ্গবন্ধু খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে দেশের রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট করেছেন’- এসব কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল নীলফামারীতে চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে ভার্চ্যুয়াল উপায়ে গণভবন থেকে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

নীলফামারীবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সকালে নীলফামারীর চিলাহাটি স্টেশনে চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রেলওয়ে সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর স্বাগত বক্তব্যের পর বক্তব্য দেন রেলওয়ে মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। আমন্ত্রিত অতিথির মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নীলফামারী-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান নূর, নীলফামারী-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন সরকার, প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ, জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কৃষিবিদ দেওয়ান কামাল আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মমতাজুল হক ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা এবং ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সংবাদকর্মী। চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি চিলাহাটি-ঢাকা-চিলাহাটি রুটে চলাচল করবে।

আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসহ ৮০০ যাত্রী বহনের ক্ষমতাসম্পন্ন নতুন চিলাহাটি এক্সপ্রেস সপ্তাহে ছয় দিন চিলাহাটি-ঢাকা-চিলাহাটিতে চলাচল করবে। হলদিবাড়ী-চিলাহাটি রুটে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে রেল যোগাযোগ পুনরায় চালু করায় চিলাহাটি রেলওয়ে স্টেশন নীলফামারী জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগস্থল হয়ে উঠেছে। পণ্যবোঝাই ওয়াগনের পাশাপাশি এই রুটে আন্তঃদেশীয় মিতালী এক্সপ্রেস চলাচল করছে।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন রেলওয়ে সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবির। অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন, এমপি বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ রেলওয়ের (বিআর) ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।

২০০৯ সাল থেকে ক্ষমতায় আসার পর থেকে আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৪ বছরে মোট ৭৪০ কিলোমিটার নতুন রেলপথ স্থাপন করেছে, ২৮০ কিলোমিটার রেলপথকে ডুয়েলগেজে রূপান্তর করেছে এবং ১ হাজার ৩০৮ কিলোমিটার রেলপথ পুনর্বাসন করেছে। এই সময়কালে, বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য মোট ১১৪টি লোকোমোটিভ সংগ্রহ করা হয়েছে এবং নতুন ৬২৩টি যাত্রীবাহী বগি এবং ৫১৬টি পণ্যবাহী ওয়াগন সংগ্রহ করা হয়েছে। এছাড়া, ১৩০টি রেলস্টেশনের সিগন্যালিং সিস্টেম আধুনিকীকরণ করা হয়েছে। বর্তমানে যাত্রীদের চলাচলের জন্য ১৪২টি নতুন ট্রেন চলাচল করছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত