ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সাংবাদিকদের তথ্যমন্ত্রী

বিএনপির অপরাজনীতির কারণেই মার্কিন ভিসা নীতি

বিএনপির অপরাজনীতির কারণেই মার্কিন ভিসা নীতি

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির নেতিবাচক, ধ্বংসাত্মক, মানুষ পোড়ানোর অপরাজনীতি, নির্বাচন প্রতিহত করা-বয়কট করার অপরাজনীতির কারণেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে।

গতকাল দুপুরে সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে বিএনপি মহাসচিবের ‘আওয়ামী লীগ সরকারের কারণেই নতুন মার্কিন ভিসা নীতি’ বক্তব্যের জবাবে এ কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, নতুন মার্কিন ভিসা নীতি ঘোষণার পর বিএনপির অন্তর্জ্বালা শুরু হয়েছে কারণ তাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি নাকচ করেছে এবং অন্য কোনো দেশের সমর্থনও তারা পায়নি। ফলে তাদের পক্ষে আগের মতো ‘নির্বাচন প্রতিহত করব, বর্জন করব’ এগুলো বলার সুযোগ নেই।’ যে কারণে এখন ফখরুল সাহেব একটু হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে একেক সময় একেক কথা বলছেন। বিভিন্ন কথা বলে আত্মতুষ্টি লাভের চেষ্টা করছেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সব কথার শেষ কথা হচ্ছে তাদেরকে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে। নির্বাচন প্রতিহত করার রাজনীতি তাদের পক্ষে আর করা সম্ভবপর নয়। তাই তাদের অনুরোধ জানাব, দেশে গ-গোল করার পরিকল্পনা না করে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করুন।

বিএনপি-জামায়াত তো সবসময় এক, বিএনপি এবং জামায়াত আবার এক হচ্ছে, জামাত ১০ জুন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে- সাংবাদিকদের এমন মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত তো সবসময় এক আছে। তারা কোনো সময় বিচ্ছিন্ন হয় নাই, মাঝেমধ্যে মৌনতা অবলম্বন করে। নির্বাচন সামনে রেখে তারা দেশে গ-গোল করার চেষ্টা করবে। সেই গ-গোল করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই তারা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সামনে অবস্থান কর্মসূচি দিয়েছে। এটি কোনো সাধারণ রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, গন্ডগোল করার উদ্দেশ্যেই। সেই গন্ডগোল তাদের করতে দেয়া হবে না। আমরা সতর্ক আছি, বিএনপি-জামাতকে কীভাবে মোকাবিলা করতে হয়, দেশের জনগণ জানে।

তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নানা কর্মসূচি ঘোষণা করবে, এটি অস্বাভাবিক কিছু নয়। তবে জামায়াত এবং বিএনপি সহিংসতা করার লক্ষ্যেই কর্মসূচি সাজাচ্ছে বলে আমরা মনে করি। তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশে একটি গন্ডগোল করে বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি করা, পানি ঘোলা করা, পানি ঘোলা করে সেখান থেকে মাছ শিকার করা। সেটি করার সুযোগ তারা পাবে না। নির্বাচন সামনে রেখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা গুজবের উদ্ভব হচ্ছে জানিয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব বিশ্বব্যাপী একটি চ্যালেঞ্জ। আমি ক’দিন আগে এশিয়া মিডিয়া সামিটে গিয়েছিলাম। সেখানে এই বিষয়টা গুরুত্বের সাথে আলোচনা হয়েছে এবং সামিটের ঘোষণাপত্রে সর্বাধিক গুরুত্ব পেয়েছে। বিএনপি-জামায়অতের পেইড এজেন্ট যারা খুনের দায়ে, দুর্নীতির দায়ে পলাতক তারা বিদেশে বসে আর কিছু ব্যক্তিবিশেষ দেশ থেকে নানা গুজব ছড়ায়। গুজব প্রতিরোধের জন্য সরকার নানা ব্যবস্থা নিয়েছে জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, আগামী জুলাই থেকে বিটিআরসির সক্ষমতা বাড়বে এবং আমাদের মন্ত্রণালয় গুজব প্রতিরোধে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত