ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

দুর্নীতি দমন কমিশনে চিঠি

বাগেরহাটে নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

বাগেরহাটে নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাসুম বিল্লাহ’র বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে। দুর্নীতি আর স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে পুরো বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের পওর বিভাগ তার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে উল্লেখ করে দুর্নীতি দমন কমিশনে লিখিত অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।

অভিযোগে সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ ২২ বছর পর বাগেরহাট সদর উপজেলার বেমর্তা ইউনিয়নের চরগ্রাম এবং গোটাপাড়া ইউনিয়নের কেশবপুর নামক স্থানে জরুরি বাঁধ সংস্কারের কাজ শুরু করেন নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাসুম বিল্লাহ। দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ লাঘব হবে বলে এলাকার মানুষ এ বাধ নির্মাণের জন্য খুশি হয়। কিন্তু বাধ নির্মাণে অনিয়ম করে কৌশলে ৪৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা পকেটে তুলেন তিনি। গোটাপাড়া ইউনিয়নের কেশবপুর নামক স্থানে জরুরি বাঁধের সম্পন্ন কাজ মাটি দিয়ে নির্মাণ করার কথা থাকলেও বাধের মাঝে বালি দেয়ায় ক্ষুব্দ হন এলাকাবাসী। এদিকে বাগেরহাটের জয়মনির ঘোল নামক স্থানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধ না থাকা সত্ত্বেও ২০২২-২৩ এবং ২০২১-২২ অর্থবছরে দুইটি জরুরি মেরামত কাজ দেখিয়ে ৫৫ লাখ টাকা তোলার জন্য অগ্রগতি প্রতিবেদন পাঠিয়েছেন বলেও জানা গেছে।

অভিযোগে আরো উল্লেখ রয়েছে, ভূয়া সনদে আউটসোর্সিংয়ে মাধ্যমে ৩১ জনকে নিয়োগ দিয়েছেন নির্বাহী প্রকৌশলী। এর মধ্যে পাঁচজনের অভিজ্ঞতার সনদ তিনি নিজেই দিয়েছেন। যেটা তার এখতিয়ার বহির্ভূত। বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের পওর বিভাগে দুইজন গাড়ির ড্রাইভার নিয়োগ দেন তিনি। যাদের গাড়ি চালানোর অভিজ্ঞতা কম। নতুন ড্রাইভিং লাইসেন্স হাতে পেয়েছেন। একজনের নাম সুজন শেখ আর একজনের নাম আসাদুল ইসলাম আসাদ। সুজন শেখ বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের পওর উপবিভাগে আর আসাদ রায়েন্দা পওর উপ-বিভাগের গাড়ি চালান। এদিকে আসাদ, নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাসুম বিল্লাহ গাড়িচালক জুয়েলের শ্যালক বলে জানা গেছে। চাকরি আবেদন টেন্ডারে চার বছরের অভিজ্ঞতা চাইলেও তাদের অভিজ্ঞতা কম থাকায় নির্বাহী প্রকৌশলী নিজের দপ্তর প্যাডে অভিজ্ঞতার সনদ দিয়ে আসাদ ও সুজন শেখকে নিয়োগ দেন। আসাদের ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ড্রাইভিং লাইসেন্স হাতে পায়। এছাড়া ড্রাইভার সুজন শেখও নকল সনদ দিয়ে চাকরি নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সুজন শেখ ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে লাইসেন্স হাতে পায়। এছাড়া গুটি কয়েক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাসুম বিল্লাহ’র অবৈধ লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে। পছন্দের ঠিকাদারদের কাগজপত্র যাচাই না করেই ডিপিএম (ডিরেক্ট প্রকিউরম্যান্ট মেথড) পদ্ধতিতে অধিকাংশ কাজ দেন তিনি। মেসার্স দোলা এন্টারপ্রাইজ, শেখ শহিদুল ইসলাম, মেসার্স শুভ এন্টারপ্রাইজের কথা দুদকে দেয়া অভিযোগপত্রে উল্লেখ রয়েছে। বিভিন্ন গেট অপারেটরদেরও অর্থের বিনিময়ে চাকরি দিয়েছেন বলেও অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছেন স্থানীয়রা।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুম বিল্লাহ বলেন, আমার দ্বারা কোনো অনিয়ম হয় নাই। দুদকে যেহেতু অভিযোগ পড়েছে, দুদক তদন্ত করে রিপোর্ট দিক। কোনো অসুবিধা নেই।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত