ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বিচারপতি নাইমা হায়দার

সাক্ষীর জন্য পিছিয়ে যায় মামলা

সাক্ষীর জন্য পিছিয়ে যায় মামলা

সুপ্রিমকোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি নাইমা হায়দার বলেছেন, জজ সাহেব ও আইনজীবীদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। স্বাক্ষীর জন্য মামলা অনেক পিছিয়ে যায়। গতকাল দুপুরে সিরাজগঞ্জ জজ আদালতের শহীদ সোহেল আহম্মেদ ও জগন্নাথ পাঁড়ে সম্মেলন কক্ষে বিচারাধীন পুরোনো দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলাসমূহের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দ্রুত নিষ্পত্তিবিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, বাটোয়ারা মামলা তো শেষ হয় না। একটি পরিবারের ৪টি ছেলে। তাদের দুজন দেশের বাইরে কাজ করতে চলে যায়। সেই স্বাক্ষীর জন্য বসে থাকতে হয়। ছোট ছোট ট্রাইব্যুনাল আছে সেগুলোতে না গিয়ে যদি হাইকোর্টে চলে আসে; তাহলে দেখা যায় হাইকোর্টেই চলে যায় ৮/১০ বছর। কেন হাইকোর্টে মামলা শুনানি করা হবে না মর্মে যদি একটি রুল দেয়া হয়। সেই রুলটার শুনানি হতেই ৫/৬ বছর লেগে থাকে। সিরাজগঞ্জ আদালতে মামলা নিষ্পত্তি পরিসংখ্যানে সন্তোষ প্রকাশ করে বিচারপতি বলেন, মামলা জট বলা হলেও সিরাজগঞ্জের পরিসংখ্যান মোটামুটি ভালো। সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ ফজলে খোদা মো. নাজিরের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) শেখ মো. নাসিরুল হক, নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) সালমা খাতুন, অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রাশেদ তালুকদার, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ম আদালত মোহাম্মদ এরফান উল্লাহ, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২য় আদালত মো. আবুল বাশার, অতিরিক্ত জেলা জজ ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালত কানিজ ফাতেমা ও সিনিয়র সহকারী জজ (সদর) মো. আহসান হাবিব। এ সময় বিচারকবৃন্দ, আদালতের কর্মকর্তা, আইনজীবী, পিপি, জিপি ও বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। এরআগে দূরদূরান্ত থেকে আসা বিচারপ্রার্থীদের বিশ্রামের জন্য আদালত প্রাঙ্গণে নির্মাণাধীন ‘ন্যায়কুঞ্জ’ এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন বিচারপতি নাইমা হায়দার। বিচারের জন্য আসা বিচারপ্রার্থীদের দীর্ঘদিনের ভোগান্তি লাঘবে দেশের প্রত্যেক জেলার মতো সিরাজগঞ্জেও ন্যায়কুঞ্জ গড়ে তোলা হচ্ছে। এখানে থাকছে নারী ও পুরুষের জন্য আলাদা ইউনিট। ব্রেস্টফিডিংয়ের জন্য মায়েদের আলাদা কক্ষ, প্রত্যেক ইউনিটে দুটি করে টয়লেট। সুপেয় পানির ব্যবস্থা ও একটি স্টেশনারি দোকান। এ সুব্যবস্থায় আদালতপাড়া আনন্দিত।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত