ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

আজ দুই সিটি ও দুই পৌরসভায় নির্বাচন

গাজীপুর মডেলে ভোট করতে চায় ইসি

গাজীপুর মডেলে ভোট করতে চায় ইসি

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গাজীপুরের মডেলে আজ দুই সিটিতে সুষ্ঠু ভোট করতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বরিশাল ও খুলনা সিটিতে ভোটগ্রহণ হবে। এছাড়া কক্সবাজার সদর পৌরসভা ও নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার পৌরসভা এবং ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলা ভোটগ্রহণ করা হবে আজ।

এদিকে গতকাল নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে অনুষ্ঠেয় সব সিটিতে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা হবে। তিনি বলেন, এখন আমাদের হাতে খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও রাজশাহী সিটি নির্বাচন। জাতিকে পক্ষপাতিত্বহীন একটি নির্বাচন উপহার দিতে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।

তিনি জানান, তফসিল ঘোষণার পর থেকেই নির্বাচনে বিধিবিধান প্রতিপালনে আমাদের অবস্থান কঠোর ছিল। খুলনা ও বরিশাল সিটি নির্বাচনের প্রতিটি পদক্ষেপেই আমরা তীক্ষè নজর রাখছি। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছি। ভোটের দিনও আমরা সরাসরি সিসি ক্যামেরায় এ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করব। আহসান হাবিব আরো জানান, নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগসহ শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিতে প্রশাসন, পুলিশ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারা আমাদের নির্দেশনা শতভাগ পালনের নিশ্চয়তা দিয়েছেন। আমাদের বার্তা স্পষ্ট ছিল- আমরা সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি করেছি। একই সঙ্গে নির্বাচনি প্রচারণায় অনিয়ম এবং বিশৃঙ্খলাকারীদের কোনো ধরনের ছাড় দিইনি।

নির্বাচনি এলাকায় বহিরাগতদের প্রবেশ বন্ধের জন্য চেকপোস্ট করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বরিশাল ও খুলনা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন গাজীপুরের নির্বাচনের চেয়েও ভালো হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। অনিয়মের সঙ্গে কেউ জড়িত হলে তাদের বিরুদ্ধে অতীতের চেয়ে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এদিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল সিটি নির্বাচন উপলক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা সভা করেছেন। এ সভায় সিটি নির্বাচনে কোনো ধরনের শঙ্কা না থাকার বিষয়ে নিশ্চিত করা হয়েছে। এ ধারাবাহিকতায় ২৫ মে গাজীপুর সিটি নির্বাচনও শেষ হয়েছে। এ ভোটে নৌকার প্রার্থীকে হারিয়ে জিতেছে স্বতন্ত্র প্রার্থী।

গাজীপুরের নির্বাচনের পর স্বস্তির মধ্যে নির্বাচন কশিমনার আলমগীর বলেছেন, শুধু গাজীপুর কেন, আমাদের সময়ে যত নির্বাচন হবে, সবগুলো একই মানের করার চেষ্টা করব। আমরা সবসময় বলেছি যে, নির্বাচনটা সুষ্ঠু হবে, সুন্দর হবে। আমাদের কাজ হলো যেসব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে আসবে, তাদের সবাইকে সমান সুযোগ দেয়া। যেটা আমাদের পক্ষ থেকে দিতে হবে এবং সবার জন্য সমান মাঠ রাখব। সবাই নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন সেই ব্যবস্থা আমরা করব। বরিশাল ৭ মেয়র প্রার্থী, দল ও প্রতীক এবং ভোটার : বরিশাল ৭ মেয়র প্রার্থী লড়ছেন তারা হলেন- মো. আলী হোসেন হাওলাদার স্বতন্ত্র, হরিণ। মিজানুর রহমান বাচ্চু জাকের পার্টি, গোলাপফুল। আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, নৌকা। মো. ইকবাল হোসেন জাতীয় পার্টি, লাঙ্গল। মো. আসাদুজ্জামান স্বতন্ত্র, হাতি। মো. কামরুল আহসান স্বতন্ত্র, টেবিল ঘড়ি। মুফতি সৈয়দ মো. ফয়জুল করিম ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, হাত পাখা।

এ সিটিতে ভোটার ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৮৯ জন এবং নারী ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮০৯ জন। মেয়র একজন, সাধারণ ওয়ার্ডে ৩০ জনসাধারণ কাউন্সিলর, সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ১০ জন কাউন্সিলর। ভোটকেন্দ্র ১২৬ ও ভোটকক্ষ ৮৯৪টি। সব কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট, থাকবে সিসি ক্যামেরাও।

প্রতিটি সাধারণ কেন্দ্রে ১৬ জন এবং প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ১৭ জন। পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ান আনসারের সমন্বয়ে মোবাইল ফোর্স ৩০টি, স্ট্রাইকিং ফোর্স ১০টি, রিজার্ভ স্ট্রাইকিং ফোর্স ৩টি; র‌্যাবের ১৬টি টিম এবং বিজিবি ৭ প্লাটুন। নির্বাহী হাকিম ৪৩ জন ও বিচারিক হাকিম ১০ জন।

খুলনায় পাঁচ মেয়র প্রার্থী লড়ছেন। তারা হলেন- মো. আ. আউয়াল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, হাত পাখা। মো. শফিকুল ইসলাম মধু জাতীয় পার্টি, লাঙ্গল। তালুকদার আব্দুল খালেক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, নৌকা। এসএম শফিকুর রহমান স্বতন্ত্র, টেবিল ঘড়ি। এসএম সাব্বির হোসেন জাকের পার্টি, গোলাপ ফুল। খুলনা সিটিতে ভোটার ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ ভোটারের মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৩ জন; ২ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৬ জন নারী। একজন মেয়র, ৩১ জন সাধারণ কাউন্সিলর এবং ১০ জন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরকে নির্বাচিত করবেন তারা। ২৮৯টি ভোট কেন্দ্রের ১ হাজার ৭৩২টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ হবে। সব কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট হবে এবং থাকবে সিসি ক্যামেরা। প্রতিটি সাধারণ কেন্দ্রে ১৬ জন এবং প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ কেনেন্দ্র ১৭ জন। পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ান আনসারের সমন্বয়ে মোবাইল ফোর্স ৩১টি, স্ট্রাইকিং ফোর্স ১১টি, রিজার্ভ স্ট্রাইকিং ফোর্স ৭টি; র‌্যাবের ১৬টি টিম এবং বিজিবি ৭ প্লাটুন। নির্বাহী হাকিম ৪৪ জন ও বিচারিক হাকিম ১০ জন দায়িত্ব পালন করবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত