চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় চার হলুদ কাছিমের বাচ্চা জন্ম

প্রকাশ : ১২ জুন ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  চট্টগ্রাম ব্যুরো

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় চারটি হলুদ পাহাড়ি কাছিমের বাচ্চা জন্ম নিয়েছে। প্রায় ১০ বছর পর চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলো। প্রাকৃতিক পরিবেশে তৈরি করা নতুন খাঁচায় বিলুপ্তপ্রায় কাছিম ছেড়ে দিয়ে ১৫ মাসের মধ্যে ডিম ফুটে এসব বাচ্চা জন্ম হয়।

এর আগে ২০১৯, ২০২০ ও ২০২২ সালে চিড়িয়াখানায় হাতে তৈরি ইনকিউবেটরের মাধ্যমে জন্ম নেওয়া ৬৫টি অজগরের বাচ্চা তিন ধাপে প্রকৃতিতে অবমুক্ত করা হয়েছিল। এ ছাড়া আবদ্ধ পরিবেশে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো চিতা বিড়াল প্রজনন করেছিল। ডেপুটি কিউরেটর ডা. শাহাদাত হোসেন শুভ বলেন, বিভিন্ন পশুপাখির বংশবিস্তারের মাধ্যমে প্রকৃতিতে অবমুক্ত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। এরই ধারাবাহিকতায় এবার প্রজননের সফলতায় নতুন যোগ হয়েছে হলুদ পাহাড়ি কাছিম। হলুদ পাহাড়ি কাছিম একটি অতি বিপন্ন প্রাণী। যেসব পশুপাখি ৮০-৯০ শতাংশ বিলুপ্ত হয়েছে, তাদের মধ্যে ‘অতি বিপন্ন’-এর তালিকায় রাখা হয়েছে হলুদ কাছিমকে।

তিনি জানান, হলুদ পাহাড়ি কাছিম মাটির নিচে সচরাচর ৩-৫টি কিংবা ১-৭টি ডিম পাড়ে। ১২০-১৫০ দিন অথবা ১০০-১৯০ দিনের মধ্যে ডিম ফুটে বাচ্চা জন্ম নেয়। সেই হিসাবে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় জন্ম নেওয়া পাহাড়ি কাছিম প্রজননে একটু বেশি সময় নিয়েছে। বৃহস্পতিবার তিনটি ও শনিবার আরও একটি হলুদ কাছিমের বাচ্চা জন্ম নেয়। চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ আশা করছে, ভবিষ্যতে এই প্রজাতির কাছিমের আরও বংশবৃদ্ধি হবে এবং পরবর্তী সময়ে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ও বন বিভাগের সহযোগিতায় উপযুক্ত পরিবেশে রি-ওয়াইল্ডিংয়ের মাধ্যমে বন্য পরিবেশে তাদের অবমুক্ত করা হবে।

জানা গেছে, ২০১৩ সালের পর চিড়িয়াখানায় বিপন্ন পাহাড়ি কাছিম প্রজনন করেনি। চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা নির্বাহী কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে এই কাছিমের জন্য ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে নতুন খাঁচা তৈরি করা হয়। সেই খাঁচায় তাদের প্রাকৃতিক পরিবেশে বিচরণের সুযোগ দেওয়া হয়। এতে ৮টি কাছিম প্রজননের পরিবেশ ফিরে পায়।