আনন্দমুখর পরিবেশে ভোট হয়েছে : সিইসি

প্রকাশ : ১৩ জুন ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

বরিশাল-খুলনা সিটি করপোরেশনসহ দুই পৌরসভায় আনন্দমুখর পরিবেশে ভোট হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, বরিশালে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থীর ওপর হামলা ঘটনায় কোনো ধরনের নির্বাচনোত্তর বিশৃঙ্খলা যাতে না ঘটে, সে বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। গতকাল ভোট শেষে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি। সিইসি বলেন, দুই-চারটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া সার্বিকভাবে সুন্দর, শান্তিপূর্ণ ও আনন্দমুখর পরিবেশে ভোট হয়েছে। খুলনায় গড়ে মেয়র পদে প্রায় ৪৫ শতাংশ ও বরিশালে গড়ে প্রায় ৫০ শকাংশ ভোট পড়তে পারে। আর পৌরসভায় ৫৫ শতাংশ ভোট পড়ার আশা করা হচ্ছে।

ভোটে সন্তুষ্ট নিয়ে সিইসি বলেন, যেটা দেখেছি- আমরা সন্তুষ্ট বোধ করছি। সার্বিকভাবে নির্বাচনটা আজকে হয়েছে (বরিশাল-খুলনা সিটি, কক্সবাজার আড়াইহাজার পৌরসভা) তা বেশ সুশঙ্খল, আন্দমুখর পরিবেশে হয়েছে। গণমাধ্যমসহ সবখানে ইতিবাচক সংবাদ পেয়েছি। দুই-চারটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে। এটা আশাব্যঞ্জক। একটি দলের মেয়র প্রার্থীকে মেরে রক্তাক্ত করা হয়েছে, তাহলে নির্বাচন শান্তিপূর্ণ বলা যায় কি- এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, রক্তাক্ত এখন সব কিছু তো আপেক্ষিক। উনি কি ইন্তেকাল করেছেন? আমরা যেটা দেখেছি, উনার কিন্তু রক্তক্ষরণ দেখিনি। যতটা শুনেছি উনাকে পেছন থেকে কেউ ঘুষি মেরেছে। উনার বক্তব্যও শুনেছি। উনি বলেছেন, যে ভোট বাধাগ্রস্ত হচ্ছে না। আমাকে আক্রমণ করা হয়েছে এবং আমরা সঙ্গে সঙ্গে খবর নেয়ার চেষ্টা করেছি, ভোট কার্যক্রম ওই কারণে বাধাগ্রস্ত হয়েছে কি না। আমরা যে খবর পেয়েছি, ভোট কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়নি এবং উনাকে যে আহত করা হয়েছে, সঙ্গে সঙ্গে আমরা সবার সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক, রিটার্নিং অফিসার এবং যে দায়ী তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে এবং দায়-দায়িত্ব নিরূপণ করার পর পুলিশ পদক্ষেপ নিয়েছে ইতিমধ্যে। আমরা আরো নির্ভরযোগ্য তথ্য পরবর্তীতে হয়তো পাব। তিনি বলেন, আমরা দেখেছি, শুনেছি-বরিশালে হাতপাখার প্রার্থীকে খানিকটা আঘাত করা হয়েছে। এতে কিছুটা উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল বা সে উত্তেজনা এখনো হয়ত প্রশমিত হয়নি। এখান থেকে বলা হয়েছে- এ ধরনের আশঙ্কা থেকে নির্বাচনোত্তর যেন সহিংসতা না ঘটে, কোনো রকম উচ্ছৃঙ্খল আচরণ যেন না হয়। অনেক সময় ভোটের ফলাফল ঘোষণার পরে এ ধরনের ঘটনা ঘটে, সে প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে।