ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

আওয়ামী লীগ বেঁচে থাকতে তত্ত্বাবধায়ক ফিরবে না

বললেন ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগ বেঁচে থাকতে তত্ত্বাবধায়ক ফিরবে না

আওয়ামী লীগ বেঁচে থাকতে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা আর ফিরবে না বলে সাফ জানিয়ে দিলেন ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, উচ্চ আদালতের রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সংবিধান থেকে বাতিল করা হয়েছে। বিদেশি শক্তিকে দিয়ে দুই বছরের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার বসানোর ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি।

গতকাল বিকালে রাজধানীর হাজারীবাগ বাজারে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি এখনো মনে মনে কলা খাচ্ছে। বিদেশি শক্তিকে দিয়ে ওয়ান ইলেভেনের মতো দুই বছরের জন্য আবারো নিজেদের ইচ্ছা অনুযায়ী তত্ত্বাবধায়ক বসাবে, কেমনে এটা মনে করলেন? সব খবর আমরা রাখি। ওয়ান ইলেভেনের দুঃস্বপ্ন দেখে আর লাভ নেই। মনে করছে ১ তারিখের মতো, অক্টোবর মাস। সেই তত্ত্বাবধায়ক। নিজের দলের ফখরুদ্দীন, মঈনুদ্দিনকে বসাবেন। আমরা বেঁচে থাকতে সেটা আর হবে না।

তিনি বলেন, বিএনপির নেতারা বলছেন শেখ হাসিনার সময় শেষ, আওয়ামী লীগের সময় শেষ। আমি একটু জানতে চাই, ফখরুল সাহেব, আমীর খসরু সাহেব, কবে শেষ? দিন তারিখ বলুন। ১৪ বছর ধরে তো শুনছি। বলে রোজার ঈদের পর, কোরবানির ঈদের পর, তারপর বলে বর্ষার পর, পরীক্ষার পর। এই বছর না ওই বছর? আন্দোলন হবে কোন বছর? দেখতে দেখতে ১৪ বছর। মানুষ বাঁচে কয় বছর?

সেতুমন্ত্রী বলেন, ফখরুল সাহেব, সময় যখন শেষ প্রেস কনফারেন্স করার সময়টা জানিয়ে দেন। আমরা এক গোছা গোলাপ, রজনীগন্ধা নিয়ে হাজির হবো, সময়টা বলেন। যেন আমরা সময়মতো আপনাদের হাতে ক্ষমতা তুলে দিতে পারি। কত কথা এরা বলে! আজকে আওয়ামী লীগ সারা বাংলাদেশে জনগণের কাছে একটা বিষয়, আমরা জানতে চাই- আপনারা কি মনে করেন শেখ হাসিনা দেশটা ভালো চালিয়েছে? আপনারা কি মনে করেন, এত দিনে তাপমাত্রা, আল্লাহর কী রহমত, তাপমাত্রা কমে গেছে। লোডশেডিং কমে যায়নি? ফখরুল আপনার দোয়া, শকুনের দোয়া কাজে লাগেনি। তাপমাত্রা আরো কমবে। লোডশেডিং আরো কমে যাবে। কয়টা দিন অপেক্ষা করেন।

বাজেট প্রসঙ্গে কাদের বলেন, বাজেটে একটু ঘাটতি ছিল। জাপান সহযোগিতা করেছে। সোয়া চারশ’ মিলিয়ন। শেখ হাসিনা যখন বিদেশে সম্মানিত হয়, বাংলাদেশের মানুষ খুশি হয়। কষ্ট পায় বিএনপি। তাদের কলিজা শুকিয়ে যায়। শেখ হাসিনা সম্মান আনছে দেশের জন্য, এটা যখন দেখে তখন তাদের মুখের দিকে তাকানো যায় না।

রবীন্দ্রনাথের কবিতার চরণ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি এবং তাদের দোসররা মনে করে তাদের মনের কথা সেদিন তারা বলবে, নির্বাচন নিরপেক্ষ হয়েছে, সুষ্ঠু হয়েছে, যেদিন আওয়ামী লীগ পরাজিত হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয়ী হলে, তারা কোনো দিন পরাজয় মেনে নেবে না। কাদম্বিনি মরিয়া প্রমাণ করিলো তিনি মরেন নাই।

মন্ত্রী বলেন, ৫২ দল, ৫৩ দল এগুলো ভুয়া। বেগম জিয়া নাকি দেশ চালাবেন ডিসেম্বর মাসে! বিএনপি একটা দল! তারা আইন মানে না, বিচার মানে না। শালিস মানে না। তারা আইন অমান্যকারী।

নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগ প্রস্তুত উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা প্রস্তুত আছি। নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী। যারা বাধা দেয়, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি তাদের বাধা দেয় কি না, আমরা তা দেখতে চাই। গাজীপুর, খুলনা, বরিশালের মতো সামনের সব নির্বাচন সুন্দর হবে বলে জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। সংবিধানের নিয়ম কারো জন্য অপেক্ষা করে না।

সমাবেশে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফি, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরসহ মহানগর দক্ষিণের বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত