ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা সপ্তাহ শুরু আজ

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে গুরুত্ব মানসম্মত শিক্ষায়

* দেশব্যাপী নানা কর্মসূচি পালনের উদ্যোগ * বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধিসহ সরকারের নানা উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহণ
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে গুরুত্ব মানসম্মত শিক্ষায়

চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবিলা, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জন এবং বর্তমান সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়াসহ দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষাকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। এক্ষেত্রে বিরাজমান নানা সংকট কাটিয়ে দেশে যুগোপযোগী ও মানসম্মত কারিগরি শিক্ষা নিশ্চিত করা বেশ চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। উদ্ভুত পরিস্থিতিতি বিবেচনায় এই শিক্ষা খাতে জাতীয় বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধিসহ নানা উন্নয়নমূলক কার্যক্রম চালাচ্ছে বর্তমান সরকার।

এমনই প্রেক্ষাপটে কারিগরি শিক্ষার প্রসারের লক্ষ্যে ‘স্মার্ট শিক্ষা স্মার্ট দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ’ স্লোগানে আজ থেকে দেশব্যাপী শুরু হচ্ছে ‘কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা সপ্তাহ-২০২৩’। জাতীয় পর্যায়ে রাজধানী ঢাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে এই শিক্ষা সপ্তাহের উদ্বোধন করবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এমপি। দেশব্যাপী নানা কর্মসূচিতে এই শিক্ষা সপ্তাহ উদযাপনে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন খান আলোকিত বাংলাদেশকে জানান, ‘কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা সপ্তাহ-২০২৩’ উপলক্ষ্যে আজ সকাল ৯টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ঢাকা মহিলা ইনস্টিটিউট থেকে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড পর্যন্ত র‌্যালি অনুষ্ঠিত হবে। এতে অতিথি হিসেবে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী উপস্থিত থাকবেন।

পরে বেলা সাড়ে ১১টায় সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও শিক্ষামন্ত্রী এবং উপমন্ত্রী উপস্থিত থাকবেন। দুপুর ২টায় কারিগরি শিক্ষাবোর্ডে বৃত্তিপ্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দিবেন তারা। আগামীকাল রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয় পর্যায়ে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।

মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন খান আরো জানান, আগামী ১৬ থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত দেশের সব কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আলোচনা সভা, র‌্যালি, অভিভাবক সমাবেশ বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে শিক্ষাবিষয়ক সমঝোতা স্মারক সই এবং কারিগরি শিক্ষাবিষয়ে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে নানা প্রচারাভিযান চালানো হবে।

কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ‘কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা সপ্তাহ-২০২৩’ উপলক্ষ্যে আজকের র‌্যালিতে সরকারি-বেসরকারি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে নির্ধারিত সংখ্যক শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করবেন।

শিক্ষামন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের ওয়েবসাইট সূত্রমতে, বিভাগের রূপকল্প হলো- সবার জন্য মানসম্মত কর্মমুখী, কারিগরি, বৃত্তিমূলক ও মাদ্রাসা শিক্ষা। অভিলক্ষ্য হচ্ছে- কারিগরি, বৃত্তিমূলক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিভিত্তিক শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণের সমন্বয়ে শিক্ষিত, প্রশিক্ষিত, দক্ষ ও নৈতিক মূল্যবোধসম্পন্ন মানব সম্পদ সৃষ্টি।

কৌশলগত উদ্দেশ্যসমূহ হচ্ছে- মানসম্মত কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণ; শিক্ষা ও শিক্ষা ব্যবস্থাপনার মানোন্নয়ন; প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা ও শিক্ষকদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং শিক্ষাক্ষেত্রে ন্যায্যতা ও সমতা নিশ্চিতকরণ।

কারিগরি শিক্ষা খাতের সমস্যা এবং চ্যালেঞ্জসমূহ সম্পর্কে মন্ত্রণালয়টির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে- কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের প্রধান চ্যালেঞ্জসমূহ হচ্ছে সব ছাত্রছাত্রীর জন্য মানসম্মত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করা; অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে সক্ষম উৎপাদনমুখী মানবসম্পদ তৈরি; দক্ষ মানবসম্পদ গড়ার লক্ষ্যে কারিগরি শিক্ষার এনরোলমেন্ট বৃদ্ধি; শিক্ষার সব স্তরে জেন্ডার বৈষম্য দূর করা এবং সব জনগোষ্ঠীর জন্য কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা স্তরে সমান সুযোগ নিশ্চিত করা; শিশু, প্রতিবন্ধী ও জেন্ডার সংবেদনশীল এবং নিরাপদ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও কার্যকর শিখন পরিবেশ সম্বলিত পর্যাপ্ত সংখ্যক শিক্ষা অবকাঠামো নির্মাণ ও উন্নয়ন। যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষকের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি করা। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষার প্রতিটি স্তরে পাঠ্যক্রমে নতুন কন্টেন্ট অন্তর্ভুক্তকরণ।

মন্ত্রণালয়ের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে- উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ২০২৫ সালের মধ্যে পর্যাপ্ত সংখ্যক শিক্ষা অবকাঠামো নির্মাণ ও বিদ্যমান অবকাঠামোসমূহের সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন। পর্যায়ক্রমে কারিকুলাম ও সিলেবাস পরিমার্জন অব্যাহত রাখা ইত্যাদি।

চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবিলাসহ বর্তমান প্রেক্ষাপটে কারিগরি শিক্ষায় জোর দেয়ার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এজন্য নানা সরকার নানা উদ্যোগ নিচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেছেন।

এদিকে আগামী অর্থবছরে সরকারের প্রস্তাবিত বাজেটে কারিগরি শিক্ষার জন্য বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। সূত্রমতে, এবার কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের জন্য ১০ হাজার ৬০২ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। যা বিগত বছরের তুলনায় প্রায় ৮৭৫ কোটি টাকা বেশি। এর আগে ২০২২-২৩ অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ৯ হাজার ৭২৭ কোটি টাকা।

কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল তার বাজেট বক্তৃতায় বলেন, আমাদের সরকার ‘তারুণ্যের শক্তি’কে ‘বাংলাদেশের সমৃদ্ধি’র উৎস হিসেবে বিবেচনা করে। তাই কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার প্রসারে আমরা বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। একই সঙ্গে আমরা মাদ্রাসা শিক্ষাকে যুগোপযোগী করে তুলছি। আমাদের প্রচেষ্টায় কারিগরি শিক্ষার প্রতি দেশের মানুষের আগ্রহ অনেক বেড়েছে। ২০১০ সালে যেখানে কারিগরি শিক্ষায় ভর্তির হার ছিল মাত্র ১ শতাংশ সেখানে ২০২২ সালে তা প্রায় ১৭.২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জন করতে হলে আমাদের ২০৩০ সালের মধ্যে কারিগরি শিক্ষায় ভর্তির হার ৩০ শতাংশে উন্নীত করতে হবে। এ লক্ষ্য অর্জনে আমরা নিরলস কাজ করে যাচ্ছি।

কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০, জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন নীতি-২০১১, ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (২০২১-২০২৫), টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি ২০১৬-২০৩০), প্রেক্ষিত পরিকল্পনা (২০২১-২০৪১) ও ডেল্টা পরিকল্পনা-২১০০ বাস্তবায়নে সরকার বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জনগণকে জনশক্তিতে রূপান্তরের উদ্দেশ্যে প্রতিটি পরিকল্পনাতেই সরকার কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার উপর গুরুত্বারোপ করেছে। বাংলাদেশকে ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার প্রসার ও মানোন্নয়নকে অগ্রাধিকার খাত হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এরইমধ্যে সরকার ২০২৫ সালে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় শিক্ষার্থী ভর্তির হার ২৫ শতাংশ এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশে উন্নীত করার কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলে গত ১০ বছরে কারিগরি শিক্ষায় এনরোলমেন্টের ক্ষেত্রে অভুতপূর্ব অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। ২০২০ সাল পর্যন্ত কারিগরি শিক্ষায় এনরোলমেন্ট হার ১৭.২৫ শতাংশ। এছাড়া নারী শিক্ষার্থীদের সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বর্তমানে কারিগরি শিক্ষায় নারী শিক্ষার্থী ভর্তির হার ২৬.৩৮ শতাংশ। কারিগরি শিক্ষায় সক্ষমতা বৃদ্ধিতে এ অধিদপ্তর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নতুন নতুন কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন, মাঠ পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানসমূহের অবকাঠামোর উন্নয়ন এবং শিক্ষার্থীদের বৃত্তি ও উপবৃত্তি প্রদান সংক্রান্ত কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। একইসঙ্গে দেশে-বিদেশে শিক্ষক প্রশিক্ষণ আয়োজন, ইন্ডাস্ট্রি-ইনস্টিটিউট লিংকেজ স্থাপন, যুগোপযোগী কারিকুলাম প্রণয়ন, কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা সপ্তাহ উদযাপন, জব ফেয়ার ও স্কিলস কম্পিটিশনসহ নানাবিধ কর্মসূচি পরিচালনা করছে, যা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিভিত্তিক মানসম্পন্ন কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণকে দেশের তৃণমূল পর্যায়ে জনপ্রিয় করে গড়ে তোলার মাধ্যমে দেশের বিশাল জনগোষ্ঠীকে উৎপাদনমুখী মানবসম্পদে রূপান্তর করার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে।

সূত্রমতে, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতায় চারটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, একটি টেকনিক্যাল টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, একটি ভোকেশনাল টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট, ৫০টি পলিটেকনিক/মনোটেকনিক ইনস্টিটিউট, ১৩৪টি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজসহ মোট ১৯০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সার্টিফিকেট, ডিপ্লোমা ও ডিগ্রি পর্যায়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়। কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত সরকারি ও বেসরকারি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১০ হাজার ৬৮৪টি। অধিদপ্তরাধীন বর্তমানে দুই হাজার ২৯৪টি এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে ১৫ হাজার ২১৩ জন শিক্ষক ও ৪ হাজার ৯৮৮ জন কর্মচারী কর্মরত রয়েছে। বর্তমানে সরকারি ও বেসরকারি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মোট ১৪ লাখ ৬৩ হাজার ২৩০ জন শিক্ষার্থী বিভিন্ন শিক্ষাক্রমে অধ্যয়ন করছে। তন্মধ্যে ডিগ্রি ইঞ্জিনিয়ারিং পর্যায়ে ২২২৩ জন, ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং পর্যায়ে ৩ লাখ ৬১ হাজার ৮৬ জন, এইচএসসি (ভোকেশনাল) পর্যায়ে ১৪ হাজার ৬৬১ জন, এইচএসসি (বিএম) পর্যায়ে ৪ লাখ ৬৬ হাজার ৩০৬ জন, এসএসসি ও দাখিল (ভোকেশনাল) পর্যায়ে ৪ লাখ ৫ হাজার ৩৮৭ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত।

জাতীয় দক্ষতামান বেসিক ট্রেড (শর্ট কোর্স) পর্যায়ে ২৭ লাখ ১৫ হাজার ৭৯০-এর অধিক শিক্ষার্থী প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছে। পাশাপাশি ৫২৭টি রেজিস্ট্রার্ড ট্রেনিং অর্গানাইজেশন, রিকগনিশন অব প্রাইওর লার্নিং অ্যাসেসমেন্ট সেন্টারের বিভিন্ন লেভেলে এক লাখ ৮ হাজার ১৮৬ জনের অধিক গ্রাজুয়েটকে সনদায়ন করা হয়েছে।

কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় অধিকতর শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য এ স্তরের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রদান, বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হচ্ছে বলেও অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত