কৃষক লীগের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন করলেন ওবায়দুল কাদের
প্রকাশ : ১৬ জুন ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
কৃষক লীগের তিন মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গতকাল সকালে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কৃষক লীগের বিভিন্ন জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের মাঝে গাছের চারা বিতরণের করেন তিনি। বিভিন্ন প্রজাতির ১০০টি ঔষুধি, বনজ ও ফলদ গাছ বিতরণ করা হয়।
বৃক্ষরোপণের গুরুত্বারোপ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে বিশ্ব এক বিপর্যয় কর ভবিষ্যতে দিকে ধাবমান। বিশ্বজুড়ে ক্যালাইমেট চেঞ্জের বিরূপ প্রতিক্রিয়া দৃশ্যমান। এই প্রতিক্রিয়ার স্বীকার আমরাও। আমাদের এখানেও সবুজ অনেক কমে গেছে। যেখানে শতকরা ২৫ ভাগ সবুজ দরকার, সেখানে আমাদের এখানে আছে শতকরা ৮ ভাগ। পরিবেশ বাঁচাতে গাছ অপরিহার্য ভূমিকা রাখে। এ বছর আমাদের দেশে রের্কড পরিমাণে তাপমাত্র বৃদ্ধি পেয়েছে। তাপমাত্রা এবার দক্ষিণ এশিয়ায় অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে, যা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এ খবর বারবার বলা হচ্ছে। আজকে কানাডার মতো দেশে আগুন জ্বলছে। আমেরিকার কলোরাডো নদী প্রায় শুকিয়ে গেছে। ইতালির ১৫০০ লেকের মধ্যে ৫০০ শুকিয়ে গেছে।
পৃথিবীতে পানি নিয়ে ভয়ংকর এক যুদ্ধ হতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘পানি নিয়ে যুদ্ধ’ সেটা মনে হয় খুব দূরে নয়। আজকে সারাবিশ্বে সবুজ সংরক্ষণের ক্যাম্পেইন চলছে। দেরিতে হলেও অনেকে নজর দিয়েছে। আমাদের দেশে যখন অগণতান্ত্রিক সরকারগুলো ক্ষমতায় এসেছে, তাদের শত্রুর মধ্যে বোধ হয় এক নম্বর শত্রু হচ্ছে গাছ। আমাদের দেশের বনজ ও মূল্যবান বৃক্ষ সম্পদ উজাড় করে দিয়েছে। জিয়াউর রহমান, এরশাদ পরবর্তীতে খালেদা জিয়াও এ কাজটি করেছে। বৃক্ষকে শত্রু বানিয়েছে। তার অর্থ পরিবেশকে আমরাই বিপর্যয়ে দিকে ঠেলে দিয়েছি।
লন্ডনভিত্তিক ম্যাগাজিন দি ইকোনমিস্টের সমীক্ষার চিত্র তুলে ধরে সেতুমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর বসবাস অনুপযোগী শহরের মধ্যে ঢাকা এখন অন্যতম। ১৪০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১৩৭তম। অথচ উন্নয়ন অর্জনে আমরা বিশ্বের বিম্ময়। কিন্ত আমাদের মূল্য অর্থনৈতিক রাজধানী বসবাসের অনুপযোগী। এর মূল কারণ হচ্ছে সবুজ নিধন, বৃক্ষনিধন। নদীগুলো আমাদের দূষিত। ঢাকার আশপাশে কোনো নদীতেই বিশুদ্ধ পানি নেই। ঢাকা শহরের বাতাসও দূষিত। দূষণের মাত্রা কোনো কোনো দিন এক নম্বরে চলে আসে। আমাদের উন্নয়ন-অর্জনকে লজ্জা দেয়, এই পরিস্থিতি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি প্রতিবছর আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেন। এবার তিনি আইএলও’র একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিতে জেনেভায় গেছেন। নেত্রী জেনেভায় যাওয়ার আগে এই কর্মসূচিতে যোগ দিতে ওবায়দুল কাদেরকে নির্দেশ দিয়ে গেছেন বলেও জানান তিনি।
কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, এ বছর সারাদেশে কৃষক লীগের জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে ২৫ লাখ চারা গাছ রোপণ করা হবে। বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিকে বৃক্ষরোপণ উৎসবে পরিণত করা হবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্ব নাথ সরকার বিটু, সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান বিপ্লব, দপÍর সম্পাদক রেজউল করিম রেজা প্রমুখ।