ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

পরীক্ষায় নম্বর প্রদানে অসঙ্গতি

ঢাবি অধ্যাপকের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন

ঢাবি অধ্যাপকের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন

কোর্সের মিডটার্ম পরীক্ষার নম্বরে অসঙ্গতি ও ফাইনাল পরীক্ষার আগে সেশনালের নম্বর না দেয়ার অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. জিয়া রহমানের বিরুদ্ধে তদন্তে কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গত বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে সিন্ডিকেটের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান এতে সভাপতিত্ব করেন। সভায় উপস্থিত একাধিক সদস্য বিষয়টি আলোকিত বাংলাদেশকে নিশ্চিত করেন।

তদন্ত কমিটির প্রধান হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, আইন অনুষদের ডিন (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. সীমা জামান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. তাসনিম আরেফা সিদ্দিকী এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বাহালুল হক চৌধুরী। এর আগে, গত ৭ জুন দুই শিক্ষার্থীর পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী শামসুদ্দিন বাবুল এ নিয়ে হাইকোর্টে রিট করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত সোমবার দুপুরে বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি শেষে তদন্ত করার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে দুই মাসের মধ্যে তদন্তের কাজ নিষ্পত্তি করা এবং প্রভিশনাল (সাময়িক)/ মূল সার্টিফিকেট প্রদান স্থগিত রাখতে বলেছেন হাইকোর্ট। প্রসঙ্গত, ড. জিয়া রহমানের বিরুদ্ধে সিআরএম ৪১১ নম্বর কোর্সের (লোকাল অ্যান্ড গ্লোবাল টেররিজম) মিডটার্ম পরীক্ষায় নম্বরে অসংগতি ও ফাইনাল পরীক্ষার আগে সেশনালের নম্বর না দেয়ার অভিযোগ করেছিলেন অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থী। তারা অভিযোগ করেন, ভালো পরীক্ষা দিলেও তারা আশানুরূপ ফলাফল করতে পারেননি। তারা অধ্যাপক ড. জিয়া রহমানের ব্যক্তিগত রোষানলের শিকার। এ বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মাধ্যমে কয়েকবার চেষ্টা করেও কোনো সুরাহা না পেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা। যদিও এটাকে ‘মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক’ হিসেবে দেখছেন অভিযুক্ত শিক্ষক অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান। তিনি আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, তারা (শিক্ষার্থীরা) কপি পেস্ট করেছে। আমি তো শুধু দুইজনকে এরকম নাম্বার দেইনি। অন্তত বিশ জনের মতো শিক্ষার্থীকে এরকম নাম্বার দিয়েছি। তারা তো অভিযোগ করল না। তারা যে নাম্বার পাওয়ার কথা তার থেকেও বেশি দেয়া হয়েছে। তারা কেন এই অভিযোগ করেছে আমি বুঝতে পারছি না। বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আমি অনেক ভালো কাজ করেছি। যখনই কোনো ভালো কাজ করি তখনই আমার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আনা হয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত