সাংবাদিক নাদিম হত্যা

ভারত পালাচ্ছিল চেয়ারম্যান বাবু

প্রকাশ : ১৮ জুন ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যায় প্রধান অভিযুক্ত জামালপুরের বকশীগঞ্জ সদর উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল আলম বাবুকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। গতকাল শনিবার পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে পালিয়ে যেতে চেষ্টা করছিল।

র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যাকাণ্ডের পর র‌্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সকালে চেয়ারম্যানকে আটক করা হয়। এদিকে নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম বকশীগঞ্জ থানায় বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুসহ ২২ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ২৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলার দায়ের করেন।

জামালপুরের পুলিশ সুপার নাসির উদ্দিন বলেন, মামলা দায়ের হয়েছে। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে। আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত ১০ জন গ্রেপ্তার রয়েছে।

সংবাদ প্রকাশকে কেন্দ্র করে সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম গত বুধবার রাত ১০টার দিকে বকশীগঞ্জ বাজারের পাটহাটি এলাকায় সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল আলম বাবুর সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলার শিকার হন। আহত নাদিম গত বৃহস্পতিবার বিকাল পৌনে ৩টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

এদিকে জামালপুরে সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে আওয়ামী লীগ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

গত শুক্রবার রাতে সাধুরপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে মাহমুদুল আলম বাবুকে অব্যাহতি ও দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে বলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান হয়।

বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীনা বেগম ও সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন তালুকদার বাবুল স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে বাড়ি ফেরার পথে গত বুধবার তার ওপর ‘দুষ্কৃতকারীরা’ হামলা করে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রশাসন ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে মূলহোতা হিসেবে চেয়ারম্যান বাবুর নাম উঠে আসে। এতে দলের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ণ হয়েছে। কেন তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তা সাত দিনের মধ্যে লিখিত জবাব চাওয়া হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানান হয়।