ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

শান্তিরক্ষী বাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে অপপ্রচার চালাচ্ছে বিএনপি

ওবায়দুল কাদের
শান্তিরক্ষী বাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে অপপ্রচার চালাচ্ছে বিএনপি

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশে দেশে সুনামের সঙ্গে শান্তিরক্ষায় নিয়োজিত দেশের শান্তিরক্ষী বাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিএনপি অপপ্রচার চালাচ্ছে। এ কাজে তারা ব্যবহার করছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালকে।

গতকাল বিকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সঙ্গে সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

সামনের জাতীয় নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জিং উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিতে মেরুকরণ হচ্ছে। পরস্পরবিরোধী মতের প্রদর্শন হচ্ছে। আমরা দেশে একটা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে চাই। কিন্তু বিএনপির নেতৃত্বে একটি মহল নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। নিজেরা ব্যর্থ হয়ে বিদেশি শক্তিকে কাজে লাগাতে চায়। এজন্য তারা ষড়যন্ত্র করছে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার উদ্যোগে নির্বাচন ব্যবস্থা অনেক কর্তৃত্বপূর্ণ, স্বাধীন করার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। আজকে এই বিরোধীদল, বিএনপির নেতৃত্বে তারা আসলে জানে নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হলে তাদের হেরে যাওয়ার ভয় আছে। তারা বোঝে শেখ হাসিনা অত্যন্ত জনপ্রিয়। এই অবস্থায় নির্বাচন হলে তারা জয়লাভ করতে পারবে না। কাজেই এই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ, বাধাগ্রস্ত করাই তাদের এখন কাজ। এজন্য তারা প্রথমে বিদেশিদের কাছে নালিশে গেছে। এখন লবিস্ট নিয়োগ করেছে আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশে। সর্বশেষ ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের অপপ্রচারের সঙ্গে তাদের অপপ্রচার একাকার হয়ে গেছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী নির্বাচন খুবই চ্যালেঞ্জিং। লড়াই করতে হবে অশান্তির বিরুদ্ধে। যাতে কেউ নির্বাচনে বাধা দিতে না পারে। অতীতের সন্ত্রাস, আগুন সন্ত্রাস করে বিএনপি যেন নির্বাচনি পরিবেশকে বিঘ্ন করতে না পারে সেজন্য আগামী নির্বাচন পর্যন্ত আমরা মাঠে থাকব। শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করব।

সেতুমন্ত্রী বলেন, সংকট থেকে উত্তরণের একমাত্র উপায় শান্তিপূর্ণ নির্বাচন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে নিশ্চয়তা দিয়েছেন, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। বিএনপির ব্যাপারটা হলো তারা না জিতলে এই নির্বাচন কোনো দিন অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হবে না। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আগামী ২৩ জুন দলের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী মাসব্যাপী উদযাপন করা হবে সাদামাটাভাবে, স্বতঃস্ফূর্ত ও বহুমাত্রিকভাবে।

সম্পাদকমণ্ডডলীর সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডক্টর হাছান মাহমুদ, মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, ডাক্তার দিপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ অন্যান্য নেতারা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত