ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর চালু হচ্ছে অক্টোবরে

কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর চালু হচ্ছে অক্টোবরে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রাধিকারভিত্তিক ও নির্বাচনি প্রতিশ্রুতির আলোকে কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর চালু হচ্ছে অক্টোবরে। সমুদ্রের ৮০ ফুট গভীরে বালু ভরাট ও পাইলিং করে আধুনিক মানের রানওয়ে সম্প্রসারণের কাজ এরইমধ্যে ৮০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। সমুদ্রকে শাসন করে এ রানওয়ে নির্মাণে সিভিল অ্যাভিয়েশন ইতিবাচক নজির সৃষ্টি করেছে। রানওয়ের কাজের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক যাত্রী প্রান্তিক ভবন নির্মাণের কাজও শেষ পর্যায়। চালু হওয়ার পর দিনে-রাতে ফ্লাইট ওঠানামা করবে। বাড়বে বিদেশি পর্যটক ও রাজস্ব আয়। এ তথ্য জানিয়েছেন সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ।

সিভিল অ্যাভিয়েশনের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান বলেছেন, আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে চালু হবে বিমান উড্ডয়ন-অবতরণ অপারেশন। কক্সবাজার বিমানবন্দর রানওয়ে সম্প্রসারণ প্রকল্পের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের অক্টোবর-নভেম্বরে বিমান উড্ডয়ন-অবতারণের অপারেশন চালু হবে।

চেয়ারম্যান আরো বলেন, নদী শাসন করে অবকাঠামো স্থাপন সম্ভব হলেও, সমুদ্র শাসন করে বিমানবন্দরের রানওয়ে নির্মাণ ও অন্যান্য অবকাঠামো স্থাপন করা স্বাভাবিক বিষয় নয়। এই অস্বাভাবিক গুরুত্বপূর্ণ কাজটি সিভিল অ্যাভিয়েশন করে সম্ভাবনার একটি নতুন ইতিবাচক নজির সৃষ্টি করেছে। প্রায় ৮০ ফুট গভীর সমুদ্র গর্ভে বালু ভরাট ও পাইলিং করে সাগরের বুকে নির্মাণ করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন রানওয়ে। যা দেশি-বিদেশি বিমানযাত্রী ও ভ্রমণপিপাসু পর্যটকদের মধ্যে মনোরম পরিবেশের নয়নাভিরাম দৃশ্য উপভোগ করতে সক্ষম হবেন।

সরেজমিন দেখা গেছে, রানওয়ের প্রায় ৮০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। নির্মাণ করা হয়েছে প্রটেকশন বাঁধ। রানওয়ের ঢালাই ও মসৃণ করার কাজও প্রায় শেষ পর্যায়। শত শত নির্মাণ শ্রমিক পালাক্রমে দিনে-রাতে কাজ করছেন। ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও সিভিল অ্যাভিয়েশনের প্রকৌশলীরা। আগামী ২ মাসের মধ্যেই রানওয়ের লাইটিং স্থাপনের কাজও শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

সিভিল অ্যাভিয়েশনের নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক মো. ইউনুস ভূঁইয়া জানান, দেশি-বিদেশি প্রকৌশলীদের সমন্বয়ে ৫ শতাধিক দক্ষ জনবল ও নির্মাণ শ্রমিক কর্মরত। এ প্রকল্পে দক্ষ ও অভিজ্ঞ ২০ জন পরামর্শক এবং ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের ছয়জন প্রকৌশলী কাজ করছেন। এ প্রকল্প স্থাপনে শুধু রানওয়ের জন্য সমুদ্রের ৪৩ হেক্টর জমি বন্দোবস্ত করে বালু ভরাট ও পাইলিং করে রানওয়ে তৈরি করা হয়েছে। বিমানবন্দরের ও রানওয়ে সংরক্ষণের জন্য ১০ মিটার উচ্চতাসম্পন্ন বিশেষ বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। রানওয়ে থেকে ৯০ ফুট পর্যন্ত দূরে বল্টার ও পাথর ফেলে প্রটেকশন তৈরি করা হয়েছে।

প্রকল্প পরিচালক আরো জানান, ২০১৭ সালের ৬ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্ব প্রথম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে দেশের সর্ব বৃহৎ রানওয়ে প্রকল্প উদ্বোধন করেন। পরবর্তীতে ২০১৯ থেকে শুরু করে ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ২৯০ হেক্টর জমি বন্দোবস্ত এবং ৮ দশমিক ৩৭ হেক্টর জমি সিভিল অ্যাভিয়েশন অধিগ্রহণ করে প্রকল্পের কাজ শুরু করে। দুই দফায় ২৯৮ দশমিক ৩৭ হেক্টর ভূমি বন্দোবস্ত এবং অধিগ্রহণ করা হয়। এছাড়া যাত্রী ভবনের জন্য ২৭৫ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। তবে ডলারের দাম বাড়ায় প্রকল্পের ব্যয়ও আরো বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। এছাড়া রানওয়ের জন্য ১৫ কোটি ৫৮ লাখ টাকা বরাদ্দ ছিল। তবে ডলারের মূল্য বৃদ্ধির কারণে এ প্রকল্পের ব্যয় বাড়তে পারে।

ইউনুস ভূঁইয়া জানান, দেশের প্রধান পর্যটন নগরী কক্সবাজারে সুপরিসর রানওয়ে না থাকায় ওই বিমানবন্দরে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ফ্লাইট ওঠানামা করতে পারে। তবে সম্প্রসারিত রানওয়ে চালু হলে রাতেও ফ্লাইট ওঠানামা করতে পারবে।

সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, আন্তর্জাতিক যাত্রী প্রান্তিক ভবন নির্মাণের কাজও প্রায় শেষ পর্যায়। এখন ভবনের ভেতর ইমিগ্রেশন, বোর্ডিং পাস, লাউঞ্জের সার্বিক কাজ করা হচ্ছে। সুপরিসর বিমান পার্কিং অ্যাপ্রোন ও ১৯০টি অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক যাত্রী এবং ৩৫টি ভিআইপি ভেহিক্যাল পার্কিংবিশিষ্ট কার পার্ক নির্মাণ কাজও শেষ পর্যায়। প্রায় ৯০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। ফলে আগামী অক্টোবর-নভেম্বর মাসে সুপরিসর আন্তর্জাতিক যাত্রীবাহী বিমান অবতরণ-উড্ডয়ন অপারেশন চালু সম্ভব হবে।

সিভিল অ্যাভিয়েশনের প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুল মালেক জানান, কক্সবাজার বিমানবন্দর বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরসমূহের মধ্যে অন্যতম ব্যস্ততম বিমানবন্দর। এ বিমানবন্দরে প্রতিদিন গড়ে ২৬-২৮টি অভ্যন্তরীণ যাত্রীবাহী ও ৬-৮টি কার্গো বিমান উড্ডয়ন-অবতরণ করছে। দেশের পর্যটন শিল্প বিকাশে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের যাতায়াত সুবিধার জন্য পর্যটন নগরী কক্সবাজারের সঙ্গে রাজধানী ঢাকাসহ দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরের মধ্যে যাতায়াত/যোগাযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতেই সরকার এ প্রকল্পটি হাতে নেয়। সমুদ্র উপকূলীয় এলাকায় প্রাকৃতিক দুর্যোগকালীন আকাশ পথে দ্রুত যোগাযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজার বিমানবন্দরকে সুপরিসর বিমান চলাচল উপযোগী করে আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দরে উন্নীত করার নির্দেশনা দিয়েছেন। এ নির্দেশনার আলোকে বেবিচক এ বিমানবন্দরে ব্যাপক উন্নয়ন কাজ হাতে নিয়েছে। যার মধ্যে সমুদ্রগর্ভে রানওয়ে সম্প্রসারণ কাজটি অন্যতম।

তিনি আরো জানান, প্রধানমন্ত্রী রানওয়ের দৈর্ঘ্য ৯ হাজার ফুট হতে ১০ হাজার ৭০০ ফুটে উন্নীতকরণের লক্ষ্যে সমুদ্রগর্ভে আরো ১৭০০ ফুট রানওয়ে বর্ধিতকরণ কাজের উদ্বোধন করেন ২০২১ সালের ২৯ আগস্ট। এরই ধারাবাহিকতায় উন্নয়ন কাজ দ্রুতগতিতে চলছে। প্রধান প্রকৌশলী বলেন, কোনো ধরনের ঘূর্ণিঝড় বা দুর্যোগ না হলে এবং সার্বিকভাবে সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের অক্টোবরেই আন্তর্জাতিক ফ্লাইট অপারেশন চালু করা সম্ভব হবে। পর্যটনের মৌসুমকে টার্গেট করেই আমরা দ্রুত কাজ সম্পন্ন করতে সচেষ্ট আছি।

সিভিল অ্যাভিয়েশন জানায়, রানওয়ে সম্প্রসারণ কাজটি বেবিচক ও কোরিয়ান পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ডড়ড়লড়ড়-ঝঁহলরহ ঔঠ এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রকল্পের ঠিকাদার হিসেবে চীনা প্রতিষ্ঠান CYWEB-CCECC JV নির্মাণ কাজে নিয়োজিত রয়েছে এবং নির্মাণ ব্যয় ১৫৬৮.৬৮ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরইমধ্যে সমুদ্রগর্ভে রানওয়ে ১৭০০ ফুট বর্ধিতাংশে ৪৩ হেক্টর ভূমি Reclamation প্রক্রিয়ায় ভরাটের মাধ্যমে গ্রাউন্ড ট্রিটমেন্ট কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রায় ২.০ কিমি. রক্ষাপ্রদ বাঁধ নির্মাণ, সমুদ্রে প্রিসিশন এপ্রোচ লাইটিং স্থাপনের লক্ষ্যে পাইলিং ও ফাউন্ডেশন এবং রানওয়ে বর্ধিতাংশে পেভমেন্টের কাজ ইত্যাদি দ্রুত এগিয়ে চলছে যা সরেজমিন পরিদর্শনকালে পরিলক্ষিত হয়। এছাড়াও এ প্রকল্পের আওতায় বিদ্যমান রানওয়েতে রাত্রিকালীন বিমান অবতরণ-উড্ডয়নের সুবিধার্থে ক্যাট-২ এজিএল লাইটিং সিস্টেম স্থাপন করা হবে। প্রকল্পের বাস্তব অগ্রগতি ৮০ শতাংশ। প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে রানওয়েতে পূর্ণ লোডে সুপরিসর বিমান তথা বি-৭৭৭-৩০০ ইআর, বি-৭৪৭-৪০০ জাতীয় বিমান উড্ডয়ন-অবতরণ নিশ্চিত হবে। এতে কক্সবাজারে দেশি-বিদেশি পর্যটকের আগমন ঘটবে। যার ফলে সরকারের রাজস্ব আয় বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে। আগামী মে-২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রকল্প মেয়াদ নির্ধারিত থাকলেও সমুদ্রগর্ভে রানওয়ে সম্প্রসারণ অংশে সুপরিসর বিমান তথা বি-৭৭৭-৩০০ ইআর, বি-৭৪৭-৪০০ জাতীয় বিমান উড্ডয়ন-অবতরণের মাধ্যমে আগামী অক্টোবর-২০২৩ এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধনের কথা রয়েছে বলে বেবিচক কর্তৃপক্ষ জানান।

এরই ধারাবাহিকতায় এ বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার লক্ষ্যে ২৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নান্দনিক ঝিনুক আকৃতির একটি আন্তর্জাতিক যাত্রী প্রান্তিক ভবন নির্মাণ কাজ প্রায় ৯০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি কাজ এগিয়ে চলছে। এ প্রকল্পের আওতায় অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত সম্পন্ন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ১৪ হাজার বর্গমিটার বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক যাত্রী প্রান্তিক ভবন, একটি বোর্ডিং ব্রিজ স্থাপন, ৩৬ হাজার ৩০০ বর্গমিটারবিশিষ্ট সুপরিসর বিমান পার্কিং অ্যাপ্রোন ও ১৯০টি অভ্যন্তরীণ/আন্তর্জাতিক যাত্রী এবং ৩৫টি ভিআইপি ভেহিক্যাল পার্কিংবিশিষ্ট কারপার্ক নির্মাণ করা হচ্ছে।

সিভিল অ্যাভিয়েশনের প্রকৌশল বিভাগ আরো জানায়, কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উন্নীত করার লক্ষ্যে তিনটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে সিভিল অ্যাভিয়েশন। ২০১৭ সালের ৬ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বপ্রথম বোয়িং ৭৩৭-৮০০ জাতীয় সুপরিসর বিমান রানওয়ে অবতরণ করে প্রকল্পটি উদ্বোধন করেন। এ প্রকল্পের আওতায় সিভিল, ন্যাভ-এইড ও এজিএল কাজের উদ্বোধন করেন। রানওয়ের দৈর্ঘ্য ৯ হাজার ফুট থেকে বৃদ্ধি করে ১২ হাজার ফুট এবং ১০০ ফুট চওড়া থেকে ২০০ ফুট চওড়াতে উন্নীত করা হয়। সুপরিসর বিমান অবতরণ ও উড্ডয়নের জন্য বিদ্যমান রানওয়ের পিসিএন ১৭ থেকে ৯০-এ উন্নীতকরণ, আইএলএস, ডিডিওআর, ক্যাট-২ এজিএল লাইট স্থাপন, নিরাপত্তা সীমানা প্রাচীর ও ড্রেনেজ কাজ সম্পন্ন করা হয়। পরবর্তীতে রানওয়ে সম্প্রসারণের জন্য ২০২১ সালে ২৯ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী আরো একটি প্রকল্প উদ্বোধন করেন।

সিভিল অ্যাভিয়েশন জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা রয়েছে আগামী অক্টোবর-নভেম্বরের মধ্যেই সুপরিসর আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার। এ লক্ষ্যে দ্রুত কাজ করছে সিভিল অ্যাভিয়েশন। জানা যায়, কক্সবাজার বিমানবন্দর পূর্ণাঙ্গ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হলে বিদেশি পর্যটকদের আগমন বৃদ্ধি পাবে। বাড়বে রাজস্ব আয়। পর্যটন খাতে ইতিবাচক সম্ভাবনাময় প্রভাব পড়বে।

প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মো. ইউনুস ভূঁইয়া আরো জানান, এ বিমানবন্দরকে কেন্দ্র করে তিনটি প্রকল্পের কাজ চলছে। প্রথম পর্যায় সমুদ্রের বুকে রানওয়ে সম্প্রসারণ প্রকল্প ও আন্তর্জাতিক যাত্রী প্রান্তিক ভবন নির্মাণ ও প্রয়োজনীয় অবকাঠামো তৈরি। দ্বিতীয় পর্যায় ২০২৪ সালে আরো একটি প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

প্রকল্প পরিচালক আরো জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাসের প্রভাব থেকে রানওয়েকে সুরক্ষার জন্য সমুদ্র তীরে বাঁধ নির্মাণ এবং বিমানবন্দরের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে চারপাশে বাউন্ডারি ওয়াল ও বাইরে রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে।

পরিচালক ইউনুস ভূঁইয়া আরো জানান, প্রধানমন্ত্রী অগ্রাধিকার ভিত্তিক ও নির্বাচনি প্রতিশ্রুতির কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট খুব দ্রুত চালু হবে। প্রকল্পের কাজ শেষ পর্যায়। ১৭০০ ফুটসহ এ বিমানবন্দরের রানওয়ে দাঁড়াবে ১০ হাজার ৭০০ ফুটে। এটি হবে দেশের দীর্ঘতম রানওয়ে। সমুদ্র ছুঁয়ে ছুঁয়ে বি-৭৭৭-৩০০ ইআর, বি-৭৪৭-৪০০ সুপরিসর বিমান অবতরণ করবে। তিনি বলেন, দৃষ্টিনন্দন এ রানওয়েটি হবে উপমহাদেশের এবং দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সমুদ্র শাসন করে তৈরি প্রথম রানওয়ে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত