ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সিটি করপোরেশন নির্বাচন

সিলেট ও রাজশাহীতে নৌকার প্রার্থী বিজয়ী

সিলেট ও রাজশাহীতে নৌকার প্রার্থী বিজয়ী

সিলেট ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বেসরকারি ফলাফলে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। সিলেটবাসী নতুন নগরপিতা হিসেবে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে পেলেন। অন্যদিকে রাজশাহীবাসী নগরপিতা হিসেবে পেলেন খায়রুজ্জামান লিটনকে। তিনি আগেও রাজশাহীর নগরপিতা ছিলেন। জানা যায়, সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বিশাল ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন। যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের এ নেতা দায়িত্ব পেয়ে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দেবেন এমনটাই আশা সিলেটের বাসিন্দাদের।

বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফল অনুযায়ী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ১ লাখ ১৮ হাজার ৬১৪ ভোট পেয়ে নগরপিতা নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির নজরুল ইসলাম বাবুল লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ৫০ হাজার ৩২১ ভোট।

গতকাল সন্ধ্যায় রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়সাল কাদের নগরীর উপশহরের জালালাবাদ গ্যাস মিলনায়তনে ফল প্রকাশ করেন। এদিকে রাজশাহীতে ১৫৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ১১৯ কেন্দ্রের ফলাফল জানা গেছে রাত ৮টা পর্যন্ত। এতে দেখা যায়, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ১ লাখ ১৯ হাজার ৭৭৬ ভোট পেয়েছেন। আর লাঙল প্রতীকের সাইফুল ইসলাম স্বপন পেয়েছেন ৭ হাজার ৫১২ ভোট। এর আগে গতকাল সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) চলে ভোটগ্রহণ।

সিলেট সিটিতে মোট ভোটার ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৬২৯ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছেন ২ লাখ ৫৪ হাজার ২৩৬ জন। নারী ভোটার ২ লাখ ৩৩ হাজার ৩৮৭ জন। আর ছয়জন রয়েছেন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার। নির্বাচনে মেয়র পদে আটজন, ৪২টি সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ২৯৪ জন এবং ১২টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৮৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

মেয়র প্রার্থী ছিলেন জাতীয় পার্টির নজরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জাকের পার্টর জরিহুল আলম, স্বতন্ত্র আব্দুল হানিফ, ছালাহ উদ্দিন রিমন, শাহ জাহান মিয়া এবং মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা। বরিশাল সিটি নির্বাচনে দলের মেয়র প্রার্থীর ওপর হামলার ঘটনায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মাহমুদুল হাসান সিলেটের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। অন্যদিকে রাজশাহী সিটিতে মোট ভোটার ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন। এদের মধ্যে এক লাখ ৭১ হাজার ১৬৭ জন পুরুষ ভোটার। নারী ভোটার এক লাখ ৮০ হাজার ৮০৯ জন। আর ছয়জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন। নির্বাচনে মেয়র পদে চারজন, ৩০টি সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ১১১ জন এবং ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৪৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

মেয়র প্রার্থীরা হলেন জাতীয় পার্টির সাইফুল ইসলাম স্বপন, আওয়ামী লীগের এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুরশিদ আলম এবং জাকের পার্টির লতিফ আনোয়ার। তবে বরিশাল সিটি নির্বাচনে দলের মেয়রপ্রার্থীর ওপর হামলার ঘটনায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুরশিদ আলম নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত