ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বিশ্ব হাইড্রোগ্রাফি দিবস পালিত

বিশ্ব হাইড্রোগ্রাফি দিবস পালিত

বিশ্ব হাইড্রোগ্রাফি দিবস উপলক্ষ্যে গতকাল বুধবার বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় ঢাকায় বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর মাল্টিপারপাস হলে এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম শাহীন ইকবাল। এছাড়াও সেমিনারে জাতীয় হাইড্রোগ্রাফিক কমিটির সব সংস্থা, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সহযোগী সংস্থার উচ্চপদস্থ প্রতিনিধিরা এবং মেরিটাইম সংস্থার সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন। গতকাল আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব জানানো হয়।

এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ছিল ‘সমুদ্রের ডিজিটাল টুইন সৃষ্টিতে হাইড্রোগ্রাফির অবদান।’ প্রসঙ্গত, ডিজিটাল টুইন সৃষ্টি হচ্ছে সমুদ্রের হাই রেজুলেশন, স্থিতিশীল ও বাস্তব সময়ের ভার্চুয়াল প্রতিলিপি তৈরি করা। এর মাধ্যমে সমুদ্রের বিভিন্ন গতি-প্রকৃতি ও এর প্রভাবসমূহ পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ করা হয়ে থাকে। সেমিনারে সমুদ্র সুরক্ষা, পারস্পারিক হাইড্রোগ্রাফিক সহযোগিতা, সমুদ্রের ডিজিটাল টুইনসহ সুনীল অর্থনীতির বিভিন্ন বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। আলোচনার মাধ্যমে সমুদ্র সংক্রান্ত জ্ঞান সর্বসাধারণ ও সমুদ্র বিজ্ঞানীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নীতিনির্ধারকদের মাঝে সহজে পৌঁছে দেয়া সম্ভব হবে। তাছাড়া এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সমুদ্র বিজ্ঞানী, সমুদ্র ব্যবহারকারী সংস্থা ও দেশসমূহের মাঝে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করা সম্ভবপর হবে। সেমিনারে বক্তারা এ ধরনের আয়োজনের মাধ্যমে জাতীয় পর্যায়ে জ্ঞান ও প্রযুক্তির সমন্বয়ে হাইড্রোগ্রাফিক সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ২০০১ সালে আন্তর্জাতিক হাইড্রোগ্রাফিক সংস্থার ৭০তম দেশ হিসেবে সদস্যপদ লাভ করে। সদস্য দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ২০০৫ সাল হতে এ দিবসটি গুরুত্বের সঙ্গে পালন করে আসছে। এর আগে বাংলাদেশ সরকার ১৯৮৩ সালে সমুদ্র এলাকায় হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ পরিচালনা এবং নটিক্যাল চার্ট প্রকাশের দায়িত্ব বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ওপর ন্যস্ত করে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী দেশের সমুদ্র এলাকার জন্য আন্তর্জাতিক হাইড্রোগ্রাফিক অর্গানাইজেশনের (আইএইচও) মান বজায় রেখে নটিক্যাল চার্ট প্রকাশ করে আসছে। এরইমধ্যে বাংলাদেশের সমুদ্র এলাকায় নিরাপদ নেভিগেশনের জন্য আন্তর্জাতিক সিরিজের চার্টসহ ন্যাশনাল সিরিজের পেপার ও ইলেকট্রনিক চার্ট প্রকাশের মাধ্যমে শতভাগ এলাকার চার্ট কভারেজ নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে। এসব পেপার ও ইলেকট্রনিক চার্টসমূহ সমগ্র বিশ্বে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে যা দেশি-বিদেশি মেরিনাররা নিয়মিত ব্যবহার করছেন। তাছাড়া এসব হাইড্রেগ্রাফিক তথ্য-উপাত্ত সামুদ্রিক পরিবেশ সুরক্ষা ও ব্যবস্থাপনা, প্রাণীজ ও খনিজ সম্পদের ব্যবহার, মৎস্য আহরণ, সমুদ্রসীমা নির্ধারণ, সুনামি-বন্যা ও সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির প্রভাব মডেলিং, উপকূলীয় জোন ব্যবস্থাপনা, সামুদ্রিক পর্যটন এবং সমুদ্রবিজ্ঞান বিষয়ক বিশ্লেষণে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত