ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করতে হবে

বললেন পরিবেশমন্ত্রী
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করতে হবে

উন্নত দেশে উন্নীত হলে বাংলাদেশে গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণের পরিমাণ বাড়বে। তাই পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির মাধ্যমে গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণের মাত্রা সীমিত রাখতে আমাদের কাজ করতে হবে বলে জানিয়েছেন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। তিনি বলেন, এনডিসিতে উল্লিখিত প্রশমনমূলক কার্যক্রমসমূহ বাস্তবায়ন করতে হবে। সবাই মিলে জলবায়ুপ্রশমন ও অভিযোজনমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। গতকাল পরিবেশ অধিদপ্তরে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ: ফার্স্ট বাইএনিয়্যাল আপডেট রিপোর্ট টু দ্য ইউএনএফসিসি’ শীর্ষক প্রকল্পের চূড়ান্ত কর্মশালায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন। পরিবেশমন্ত্রী বলেন, আগামী ৩০ জুনের মধ্যে ইউএনএফসিসিতে দাখিল করার জন্য ‘বাইএনিয়্যাল আপডেট রিপোর্ট’ প্রস্তুত করা হয়েছে। এ দলিলে বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তন পরিস্থিতির সামগ্রিক চিত্র, ২০১৩ থেকে ২০১৯ সময়ের জাতীয় গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণের ইনভেন্টরি এবং প্রশমন কার্যক্রমসমূহ তুলে ধরা হয়েছে। খসড়া ‘বাইএনিয়্যাল আপডেট রিপোর্ট’ অনুযায়ী, ২০১২ সালের ০.৯৮ টন কার্বন ডাইঅক্সাইড ইকুইভ্যালেন্টের সমতুল্য থেকে ২০১৯ সালে মাথাপিছু নির্গমণ ৩১.৪৮ শতাংশ বেড়ে ১.২৯ টন কার্বন ডাইঅক্সাইড ইকুইভ্যালেন্টের সমতুল্য হয়েছে। যা বাংলাদেশের মতো একটি উন্নয়নশীল দেশের জন্য এটি স্বাভাবিক নির্গমন বৃদ্ধির পরিস্থিতি নির্দেশ করে। তা সত্ত্বেও জলবায়ু পরিবর্তনরোধে গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণে আমাদের প্রয়াস অব্যাহত রাখতে হবে। মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার বলেন, বাইএনিয়্যাল আপডেট রিপোর্ট জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি পূরণে বাংলাদেশের অগ্রগতির পাশাপাশি সরকারের অতিরিক্ত পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজন এমন ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করবে। সরকারের গৃহীত পদক্ষেপসমূহের কার্যকারিতা মূল্যায়নে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার জন্য এবং কার্যকর জলবায়ু নীতি গ্রহণে রিপোর্টটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, সচিব ফারহিনা আহমেদ, গেস্ট অব অনার ইউএনডিপির ডেপুটি রেসিডেন্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ কৃষ্ণা রাজ অধিকারীসহ অনেকে। সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবদুল হামিদ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মির্জা শওকত আলী। এছাড়াও বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং সংস্থার প্রতিনিধি, উন্নয়ন সহযোগী, সিভিল সোসাইটি এবং মিডিয়ার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত