ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সংসদে অর্থমন্ত্রী

চলতি অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছে প্রায় ২ হাজার কোটি ডলার

চলতি অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছে প্রায় ২ হাজার কোটি ডলার

চলতি অর্থবছরের (২০২২-২৩) ১১ মাসে (জুলাই-মে) ১ হাজার ৯৪৪ কোটি ২০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে বলে সংসদকে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ক্ষমতাসীন দলের সদস্য মো. মামুনুর রশীদ কিরণের প্রশ্নের লিখিত জবাবে তিনি আরো জানান, গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এ বছরের রেমিট্যান্স ১ দশমিক ১ শতাংশ বেশি।

গতকাল রোববার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান। সরকারদলীয় সদস্য মোজাফফর হোসেনের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ২০২১-২২ অর্থবছরে রেমিট্যান্স আহরণকারী শীর্ষ ১০টি দেশের মধ্যে সৌদি আরব থেকে এসেছে সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৫৪২ মিলিয়ন ডলার, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৩ হাজার ৪৩৮ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ২ হাজার ৭১ দশমিক ৯ মিলিয়ন ডলার, যুক্তরাজ্য ২ হাজার ৩৯ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলার, কুয়েত থেকে ১ হাজার ৬৮৯ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলার, কাতার থেকে ১ হাজার ৩৪৬ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার, ইতালি থেকে ১ হাজার ৫৪ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলার, মালয়েশিয়া থেকে ১ হাজার ২১ দশমিক ৯ মিলিয়ন ডলার, ওমান থেকে ৮৯৭ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার, বাহরাইন থেকে ৫৬৬ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলার।

বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্য মসিউর রহমান রাঙ্গার প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, সঞ্চয়পত্রের লভ্যাংশের ওপর ও প্রাইজবন্ডের পুরস্কারের ওপর আগে থেকেই উৎসে আয়কর ধার্য আছে। তবে এর ফলে সঞ্চয়পত্র বিক্রি ও প্রাইজবন্ড বিক্রি কমেনি। উৎসে আয়কর প্রত্যাহারের কোনো পরিকল্পনা আপাতত নেই। সরকারি দলের সদস্য হাবিবুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে মুস্তফা কামাল জানান, বিগত অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে আমদানি ও রপ্তানি পর্যায়ে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের হার ছিল ৯৩ দশমিক ১৫ শতাংশ। স্থানীয় পর্যায়ে মূল্য সংযোজন কর (মুসক) থেকে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের হার ছিল ৮৪ দশমিক ৭০ শতাংশ এবং আয়কর ও ভ্রমণ কর পর্যায়ে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের হার ছিল ৯৭ দশমিক ১৭ শতাংশ। এই প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বৈশ্বিক মহামারি করোনা-পরবর্তী সময়ে আমদানি পর্যায়ে কাঁচামালের মূল্য ও ফ্রেইট চার্জ প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। এতে কাস্টম ডিউটি বাড়লেও স্থানীয় পর্যায়ের রেয়াতের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় রাজস্ব কমেছে। ব্যাংকিং সেবা খাতে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ১ হাজার ৪৮২ কোটি কম রাজস্ব আদায় হয়েছে। এছাড়া সিগেরেট খাতে ৭ হাজার ৯৩৩ কোটি টাকা ও মোবাইল ফোন খাতে ২ হাজার ৯৩৮ কোটি টাকা কম রাজস্ব আয় হয়েছে। কোভিড-পরবর্তী অর্থনৈতিক মন্দা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, বিশ্বব্যাপী সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি ও ব্যয় সংকোচন নীতি ইত্যাদি কারণে আমদানির পরিমাণ কমে যাওয়ায় করের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। সরকারি দলের সদস্য আলী আজমের প্রশ্নের জবাবে আ হ ম মুস্তফা কামাল জানান, নতুন করদাতা শনাক্তকরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯ লাখ ৬০ হাজার ৮১৭ জন। চলমান অর্থবছরে এ পর্যন্ত ৮ লাখ ২৭ হাজার ৩৪৬ জন করদাতা শনাক্তকরণ সম্ভব হয়েছে। চলতি অর্থবছরে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ থেকে (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড অংশ) রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা। অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ থেকে (স্ট্যাম্প বিক্রয় নন-জুডিশিয়াল) রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ১৩ হাজার ৮৭৯ কোটি টাকা। অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ৩ লাখ ৮৩ হাজার ৮৭৯ কোটি টাকা। গত ২০২১-২২ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রার ৯১ দশমিক ১৭ শতাংশ অর্জিত হয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত