রাজধানীতে নিরাপত্তাকর্মী হত্যা

ভাড়াটিয়ার কিশোর ছেলে গ্রেপ্তার

প্রকাশ : ২৭ জুন ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

রাজধানীর পশ্চিম আগারগাঁওয়ে এক যুবককে বাসায় ঢুকতে না দেয়ায় নিরাপত্তাকর্মীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। নিহত নিরাপত্তাকর্মীর নাম দেওয়ান আজিম (৬০)। সে টাঙ্গাইলের নাগরপুর থানার ডুবুরিয়া গ্রামের মৃত মিজুন মিয়ার ছেলে। তিনি রাজধানীর পশ্চিম আগারগাঁওয়ের আবাসিক ভবন মিয়া টাওয়ারের (বাসা নং ৫৯) নিরাপত্তাকর্মী ছিলেন। এদিকে ওই হত্যার ঘটনায় গতকাল সোমবার এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

জানা গেছে, গত রোববার দিনগত রাত ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়া হয়। সেখানে নেয়ার পর ভোররাত সাড়ে ৪টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

বাসার মালিক মো. ইমাম হোসেন বলেন, রোববার রাত ৩টার দিকে এক যুবক আমার বাসায় জোর করে ঢোকার চেষ্টা করেন। নিরাপত্তাকর্মী আজিম তাকে বাধা দেন। ওই যুবক নিরাপত্তাকর্মীর সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু করেন। একপর্যায়ে তিনি আজিমকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন। সেখানেই রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে ওই যুবক চলে যান। পরে টের পেয়ে আমরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসি। এখানে আনার পর চিকিৎসক আজিমকে মৃত ঘোষণা করেছেন।

র‌্যাব-৩ এর স্টাফ অফিসার (মিডিয়া) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ফারজানা হক জানায়, হত্যার চার ঘণ্টার মধ্যেই শাহবাগ এলাকা থেকে হত্যার অভিযুক্ত কিশোরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, নিরাপত্তাকর্মী আজিম হত্যা মামলার ক্লুলেস হত্যাকারীকে (১৬) আজ বিকেলে গ্রেফতার করা হয়। আগারগাঁও আবাসিক এলাকার একটি বাসায় নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে মো. আজিম কর্মরত ছিলেন। ওই বাসার ভাড়াটিয়া মো. হান্নান হোসেনের ছেলের (১৬) সঙ্গে আগে থেকেই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তার বাগবিতণ্ডা ছিল। রোববার সকালে তারা দুজন পুনরায় ঝগড়ায় লিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে পূর্বপ্রস্তুতি নিয়ে আসা ওই কিশোর ছুরি দিয়ে মো. আজিমের শরীরে ৫ থেকে ৬টি আঘাত করে পালিয়ে যায়।

তিনি বলেন, স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আহত আজিমকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। হত্যার পর হত্যাকারী পালিয়ে গেলেও তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে তাকে চার ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান র‌্যাবের এ কর্মকর্তা।