চট্টগ্রামে পানির দরে বিক্রি হয় কোরবানির পশু

প্রকাশ : ০২ জুলাই ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  চট্টগ্রাম ব্যুরো

চট্টগ্রামে গত বুধবার শেষ সময়ের গরুর বাজারে দাম ছিল কম। নগরীর প্রায় সব হাটেই কম দামে গরু বিক্রি হয়। ফলে বিক্রেতারা পড়েন চরম ক্রেতা সঙ্কটে। বুধবার বিকালে নগরের স্থায়ী হাট সাগরিকা বাজার, বিবিরহাট, কর্ণফুলী গরুবাজার, সল্টগোলা রেলক্রসিং-সংলগ্ন হাট ও দক্ষিণ পতেঙ্গার বাটারফ্লাই পার্কসংলগ্ন খালি মাঠ ও পতেঙ্গা লিংক রোড সংলগ্ন খেজুর তলা মাঠের গরুর বাজার ঘুরে দেখা যায় ক্রেতারা কম দামেই গরু কিনেছেন। ব্যাপারীরা জানিয়েছেন, শুরুতে বিক্রি তেমন ভালো ছিল না। দাম বেশি হাঁকা হয়। কিন্তু ঈদের একদিন আগে সেই পরিস্থিতি ছিল না। দাম অনেক কমে যায়। কম দাম দিয়েই আমরা ক্রেতা খুঁজে পায়নি। উত্তরবঙ্গ থেকে বিবিরহাট গরুর বাজারে ২৪টি গরু এনে ছিলেন ব্যবসায়ী আজিম শরীফ। তিনি বলেন, কোরবানির দিন যত ঘনিয়ে আসছিল ততই ক্রেতাদের আনাগোনা বেড়ে যায়। আমার ২৪টা গরুর মধ্যে ২২টি গরু ভালো দামে বিক্রি হয়ে যায়। তবে শেষ দিকে কম দামে বিক্রি করেছি। কারণ ক্রেতা তেমন ছিল না। বিবির হাট বাজার ব্যবসায়ীরা জানান, সেখানে শুরুতে দাম বেশি ছিল।

বুধবার দাম কমে যায়। তবে কম দামে বেশ সাড়া মিলে। ক্রেতার সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় বিক্রিও বেশ ভালো হয়েছে। সেখানে আড়াই থেকে সাড়ে তিন মণ ওজনের দেশি গরু ৫০ হাজার থেকে ৬০ হাজার, চার মণ থেকে পাঁচ মণ ওজনের গরু ৭০ থেকে ৯০ হাজার, পাঁচ মণ থেকে আট মণ ওজনের গরু এক লাখ থেকে এক লাখ ২০ হাজারে বিক্রি হয়। চাহিদা বাড়তি থাকায় বিক্রেতারা ছোট গরুর দাম তুলনামূলক বেশি দাবি করলেও বড় গরু তুলনামূলক কম দামেই মিলেছে এ হাটে। দশ থেকে বারো মণ ওজনের বেশি গরু মিলেছে দুই লাখ থেকে আড়াই লাখে। নগরীর সাগরিকা গরু বাজারের এক ব্যবসায়ী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দাম না পাওয়ায় আমার সব গরু ফেরত নিয়ে যাচ্ছি কুষ্টিয়ায়। আর এগ্রো ফার্ম করবনা বলেও জানান তিনি। তার মতে শেষ দিন যে হারে দাম কমেছে সেই দামে বিক্রি করলে অনেক ক্ষতির মুখে পড়ব। তাই গরু বিক্রি না করেই ফিরে যাচ্ছি।