সচিবালয়ে নৌ প্রতিমন্ত্রী

আধুনিক নৌপথে নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে

প্রকাশ : ০৩ জুলাই ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

তিন বছরের মধ্যে আধুনিক নৌপথ এবং নিরাপত্তার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। গতকাল সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ঈদ-পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়কালে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমাদের নদীমাতৃক এই দেশে নৌপথ আছে, কিন্তু নৌপথের নিরাপত্তার জন্য যে ধরনের প্রস্তুতি থাকা দরকার, সেই ধরনের প্রস্তুতি ১৫ বছর আগে ব্যাপক সংকট ছিল। আমরা গত ১৫ বছরে নৌপথ তৈরি করার জন্য ড্রেজার সংগ্রহ, এ ধরনের দুর্ঘটনায় যাতে প্রকৃতির বিপর্যয় না হয়, সেজন্য ইকুইপমেন্ট বা উদ্ধারকারী জাহাজ সংগ্রহ করেছি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের আরও প্রস্তুতি আছে। আমাদের যেই ধরনের উদ্ধারকারী জাহাজ, তার থেকে আরো বেশি হেভি জাহাজের জন্য ডিপিপি করেছি, প্ল্যানিং কমিশনে আছে। নৌপথ নিরাপদ রাখার জন্য আমরা ব্যাপক ব্যবস্থা নিয়েছি। আধুনিক নৌপথ এবং নিরাপত্তার জন্য যে ধরনের ব্যবস্থা, আমরা আগামী তিন বছরের মধ্যে তা নিশ্চিত করতে পারব। এর আগে সদরঘাটে আগুন লাগা লঞ্চ এমভি ময়ূর-৭ এবং সুগন্ধা নদীতে আগুন লাগা তেলবাহী জাহাজ সাগর নন্দিনী-২ নিয়েও কথা বলেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিস্ফোরণের কারণ তদন্ত রিপোর্টে বেরিয়ে আসবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সদরঘাটে ময়ূর-৭ বার্থিং করা ছিল। সেখানে কোনো যাত্রী ছিল না। সেখানে যারা স্টাফ ছিল, সেই স্টাফদের রুমে আগুন ধরে যায়। প্রাথমিকভাবে সেখানে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ফায়ার ফাইটাররা খুব দ্রুত নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে এবং কোনো হতাহত হয়নি। তবে সেই লঞ্চটা পুরোটাই পুড়ে গেছে। তিনি বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে বলতে পারি- এখানে যেই ধরনের ক্লাস মেইনটেইন করার কথা একটা লঞ্চ চলাচলের জন্য, সবগুলো সেখানে ছিল। কেন হয়েছে, শিপিংয়ের পক্ষ থেকে একটা তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে, তদন্ত রিপোর্ট এলেই আমরা জানতে পারব। এই মুহূর্তে একেবারে সঠিক তথ্য দেওয়া যাচ্ছে না, কীভাবে এই আগুন লাগল।

এ সময় সুগন্ধা নদীতে তেলবাহী জাহাজ সাগর নন্দিনী-২ এর আগুন লাগার বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, নন্দিনী, সেটা ঝালকাঠিতে। আমরা বড় ধরনের বিপর্যয় থেকে বেঁচে গেছি, ট্যাংকারের মধ্যে আগুনটা যায়নি। তার আগেই নিয়ন্ত্রণ হয়ে গেছে। আমার মনে হয় আজকের মধ্যে তেল ওখান থেকে সংগ্রহ করা হবে। তাৎক্ষণিকভাবে আমাদের উদ্ধারকারী জাহাজ সেখানে গেছে এবং সবকিছু নিয়ন্ত্রণে আছে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে একটা তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন পেলে আমরা বুঝতে পারব, কেন যেখানে স্টাফরা থাকেন সেখানে আগুন লাগল। বিস্ফোরণের কারণ তদন্ত প্রতিবেদনে বেরিয়ে আসবে। তিনি বলেন, কয়েক বছর আগে সুন্দরবন চ্যানেলের ভেতরে বড় ধরনের একটা দুর্ঘটনা ঘটেছিল। সেটাতে অনেক তেল ছড়িয়ে পড়েছিল পানিতে। সেটা খুব ভয়াবহ ছিল। তেল যাতে তুলে আনতে পারি এই ধরনের কোনো ইকুইপমেন্ট আমাদের ছিল না। মোংলা বন্দর এরই মধ্যে সেই ধরনের ইকুইপমেন্ট সংগ্রহ করেছে। অন্যান্য বন্দরগুলোতেও আমাদের এ ধরনের প্রস্তুতি আছে।