ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত

সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান করতে লিগ্যাল নোটিশ

প্রকাশ : ০৪ জুলাই ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও মহানবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালামকে কটূক্তিমূলক অপরাধের সর্বোচ্চ সাজার বিধান প্রণয়নে ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্টদের লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। রাজধানীর শান্তিনগরের বাসিন্দা মুহাম্মদ আরিফুর রহমানের পক্ষে সুপ্রিমকোর্টের অ্যাডভোকেট মো. জেআর খান রবিন গতকাল এ নোটিশ পাঠান। আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, সংসদ সচিবালয়ের সচিব, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (ডিজি) ও পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশে বলা হয়েছে, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার উদ্দেশ্যে শব্দ উচ্চারণ বা এসব অপরাধ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ দুই বছর পর্যন্ত শাস্তির বিধান আছে। এ আইনের সুবিধা সব ধর্মের মানুষ সমানভাবে নিতে পারবে। আর যে কোনো ধর্মের অবমাননাই শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কোনো বিশেষ ধর্মের জন্য বা একক কোনো ধর্মকে সুরক্ষা দিতে এ আইন নয়। এর বাইরেও ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ইলেকট্রনিক বিন্যাসে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ আইনে অপরাধ প্রমাণ হলে পাঁচ বছর কারাদণ্ড এবং অনধিক দশ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের বিধান আছে। এছাড়া একাধিকবার একই অপরাধ সংঘটিত করলে সাজার পরিমাণ এ সাজার দ্বিগুণ। যা অপরাধের তুলনায় অত্যন্ত নগণ্য ও অপ্রতুল বিধায় কেউ কেউ মহানবীসহ ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে ইতোপূর্বে নানা ধরনের মন্তব্য ও কটূক্তি করেছে এবং করে আসছে। যদিও তা কোরআন, হাদিস, সুন্নাহ ও সংবিধানবিরোধী।

মুসলিম শরিয়া আইনে এ ধরনের জঘন্য অপরাধের জন্য কঠিন সাজার বিধান রয়েছে। পাশাপাশি সংবিধান লঙ্ঘন করলেও তা সংবিধানের ৭(ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল। যার শাস্তি ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধির ১২৪ (ক) ধারা অনুযায়ী সর্বোচ্চ যাবজ্জীবনসহ অর্থদণ্ড। সুতরাং উল্লেখিত অপরাধের জন্য প্রচলিত আইনে যে সাজার বিধান রয়েছে তা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

সার্বিক বিবেচনায় প্রচলিত আইন সংশোধন ক্রমে এ ধরনের অপরাধের সর্বোচ্চ সাজা নিশ্চিত করা আবশ্যক। আইনজীবী মো. জেআর খান রবিন জানান, নোটিশ পাওয়ার যৌক্তিক সময়ের মধ্যে প্রচলিত আইন সংশোধনক্রমে কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতসহ রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে কটূক্তির সাজা সর্বোচ্চ করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। অন্যথায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।