ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

শপথ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী

সিটি নির্বাচনে সরকারের নিরপেক্ষতা প্রমাণিত

সিটি নির্বাচনে সরকারের নিরপেক্ষতা প্রমাণিত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একের পর এক সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশে গণতন্ত্র অব্যাহত থাকায় জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের ভোট দিচ্ছেন। আমরা প্রমাণ করেছি, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হতে পারে। গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী তার কার্যালয়ের শাপলা হলে পাঁচ সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়রদের শপথবাক্য পাঠ করানোর সময় এসব কথা বলেন।

নির্বাচিত মেয়র রাজশাহীর এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, সিলেটের আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, বরিশালের আবুল খায়ের আবদুল্লাহ, খুলনার তালুকদার আব্দুল খালেক ও গাজীপুরের জায়েদা খাতুনকে শপথবাক্য পাঠ করান প্রধানমন্ত্রী।

জনসাধারণকে সেবা প্রদান করে তাদের আকাঙ্ক্ষা পূরণে কাজ করে জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জনের জন্য জনপ্রতিনিধিদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার শুধু নগরীতেই নয়, তৃণমূলেও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে অগ্রাধিকার দিয়েছে। তিনি শিক্ষা, কৃষি ও স্বাস্থ্যসেবার সার্বিক উন্নয়নের কথা সংক্ষেপে তুলে ধরেন। নবনির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দেশের সার্বিক উন্নয়নে অবদান রাখুন। প্রধানমন্ত্রী রাজশাহীকে আধুনিক, সুন্দর ও পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য রাজশাহী সিটি মেয়রকে ধন্যবাদ জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি ঘোষণা করেছে। অন্যদিকে, বিএনপি-জামায়াত চক্র সন্ত্রাস ও দুর্নীতিকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছে। বিএনপি সরকার বাংলাদেশকে পাঁচবার দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন করেছিল। তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর ভোটাধিকারও কেড়ে নেয়া হয়েছিল।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ প্রত্যক্ষ করেছিল যখন বঙ্গবন্ধু তৎকালীন মহকুমাগুলোকে জেলায় পরিণত করেছিলেন এবং জেলাগুলোর সার্বিক উন্নয়ন তদারকি করার জন্য জেলা গভর্নর নিয়োগ করেছিলেন। তিনি দেশের প্রতিটি প্রান্তে উন্নয়ন নিশ্চিত করতে জনপ্রতিনিধিদের সেই অনুযায়ী কাজ করার আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার গৃহহীন ও ভূমিহীনদের বিনামূল্যে ঘর দিচ্ছে। জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের দেশে কেউ গৃহহীন ও ভূমিহীন থাকবে না। মেয়রদের শপথবাক্য পাঠ করানোর পর একই স্থানে পাঁচ সিটির সাধারণ ওয়ার্ড এবং সংরক্ষিত নারী আসনের কাউন্সিলরদের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম শপথবাক্য পাঠ করান। এতে বরিশালের ৪০ জন, খুলনার ৪১ জন, গাজীপুরের ৭৬ জন, রাজশাহীর ৪০ জন এবং সিলেটের ৩৬ জন কাউন্সিলর শপথগ্রহণ করেন। এ সময় স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইব্রাহিম শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। এলজিআরডি ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, ১২ জুন বরিশাল সিটি করপোরেশনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহ (খোকন সেরনিয়াবাত) মেয়র নির্বাচিত হন। একই দিনে অনুষ্ঠিত খুলনা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে আওয়ামী প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক মেয়র নির্বাচিত হন। অন্যদিকে গত ২৫ মে অনুষ্ঠিত গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন মেয়র নির্বাচিত হন। গত ২১ জুন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন মেয়র নির্বাচিত হন। একই দিনে সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী জয়ী হন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত