পদ্মা সেতুতে টোল আদায়ে স্মার্ট লেনের ট্রায়াল রান

প্রকাশ : ০৬ জুলাই ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  মো. মানিক মিয়া, (লৌহজং) মুন্সীগঞ্জ

পদ্মা সেতুতে এবার চলন্ত গাড়ি থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টোল আদায়ে ইলেকট্রনিক টোল সিস্টেমের (ইটিসি) পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চালু হয়েছে। গতকাল সকালে সেতুর মাওয়া প্রান্তে টোলপ্লাজায় তৈরি করা স্মার্ট বুথের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে টোল আদায়ের এ কার্যক্রমের ট্রায়াল রান করেন সেতু বিভাগের সংশ্লিষ্টরা।

এতে সেতুর দুই প্রান্তে একটি করে দুটি লেনে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশনের (আরএফআইডি) মাধ্যমে সয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে আদায় হবে টোল, প্রয়োজন হবে না ক্যাশ লেনদেন এবং টোল প্লাজায় থামতে হবে না যানবাহনের। রেজিস্ট্রেশন করা যে কোনো যানবাহন টোল প্লাজার সামনে আসলেই রোবটিক ক্যামেরার মাধ্যমে যানবাহন শনাক্ত করে অটোমেটিক টোল আদায় করা হবে। সময় লাগে ২ থেকে ৩ সেকেন্ড। সেতু সচিব মো. মঞ্জুর হোসেন জানান, টোল আদায়ের দায়িত্বে থাকা কোরিয়ান এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশন বুথগুলো স্থাপন করছে। স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে টোল পরিশোধের জন্য যানবাহনের উইন্ডশিল্ডে লাগাতে হবে বিশেষ রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন (আরএফআইডি) কার্ড। ফাস্ট ট্র্যাকের মাধ্যমে এই প্রিপেইড কার্ড থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টোল কেটে নেবে অটোমেটিক টোলিং সিস্টেমে। ডিজিটাল পেমেন্টের জন্য যানবাহনে অবশ্যই বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) অনুমোদিত আরএফআইডি ট্যাগ থাকতে হবে।

তিনি জানান, আপাতত এই টোল আদায় কার্যক্রম পরীক্ষামূলক চলবে। অচিরেই পুরোদমে কার্যক্রম শুরু হবে। এই পদ্ধতির মাধ্যমে পদ্মা সেতুতে এখন থেকে টোল আদায় আরো দ্রুত ও সহজ হবে। ট্রায়াল রান শেষে এর রেজাল্টের উপর নির্ভর করবে আমরা স্মার্ট লেনের সংখ্যা আরো বাড়াব কি না। যারা ক্যাশ দিয়ে যেতে চাইবে তাদের জন্যও অপশন আপাতত থাকবে। ৪টা পদ্ধতি আমরা চালু করার চেষ্টা করছি। সেগুলো হলো ক্যাশলেস, টাচ অ্যান্ড গো, ক্যাশ, ক্রেডিট এবং ডেবিট কার্ডের ব্যবহার।

সচিব বলেন, যানবাহনগুলোকে স্মার্ট টোল সিস্টেমের আওতায় আনার উদ্দেশ্যে একটি রেজিস্ট্রেশন বুথ খোলা হয়েছে। যারা এখান থেকে রেজিস্ট্রেশন করতে চায় তারা করতে পারবে। প্রথমবারের মতো আমরা দেখলাম এটা কাজ করে কি না। কিছু হয়তো ত্রুটি বের হবে সেগুলো আমরা সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার আগে কারেকশন করে নিব। কারো যদি কার্ড থাকে সেই কার্ড টাচ করে চলে যেতে পারবে। টোল বুথে তাকে ক্যাশ বা ক্রেডিট কার্ডে পেমেন্ট করতে হবে না। এর বাইরেও প্রতিটি বুথে ক্যাশ এবং ডেবিট-ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে যাওয়ার সুযোগ থাকবে। আমরা চাচ্ছি মানুষ যাতে ক্যাশ ট্রান্সেকশন না করে পদ্মা সেতু পার হতে পারে। কাউকে কোনো ক্যাশ টাকা দিতে হচ্ছে না। কোনো দাঁড়াতে হচ্ছে না, স্পিডে যেতে পারছে, আমাদের টোল কালেকশনেও স্বচ্ছতা থাকছে।