ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সাংবাদিকদের হাছান মাহমুদ

ইইউ রাষ্ট্রদূতের পরামর্শ বিএনপির অপরাজনীতির ওপর চপেটাঘাত

ইইউ রাষ্ট্রদূতের পরামর্শ বিএনপির অপরাজনীতির ওপর চপেটাঘাত

ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত নাশকতা-বিশৃঙ্খলা পরিহারের যে পরামর্শ দিয়েছেন, তা বিএনপির অপরাজনীতির ওপর চপেটাঘাত বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

গতকাল দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। সম্প্রতি বিএনপির সাথে বৈঠকে ইইউ রাষ্ট্রদূতের মন্তব্য নিয়ে প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, বিএনপি যাদের কাছে গিয়ে বারবার ধর্ণা দেয় তাদের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত বলেছেন- হরতাল, অবরোধ, জ্বালাওপোড়াও এগুলো করা যাবে না। এগুলো গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করে। তারা যে ক্রমাগতভাবে গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করেছে সেই কথাটিই ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতের মুখ থেকে বেরিয়ে এসেছে। এটি বিএনপির অপরাজনীতির ওপর বিরাট চপেটাঘাত।

বিএনপির জোট প্রসঙ্গে ড. হাছান বলেন, এখন বিএনপির জোটে কত দল সেটা নিয়ে একটা পরীক্ষা-নিরীক্ষা বা মাস্টার্সে অন্তত থিসিস হতে পারে। কারণ, তারা কোনো সময় বলে ৩৬ দল, কোনো সময় ৫২ দল, কালকে মিটিং করল ১২ দল। আবার মির্জা ফখরুল সাহেব কয়েক দিন আগে বলেছেন, ‘আমরা যে জোটটা করেছিলাম, সেটা ভেঙে দিয়েছি এখন আবার দেখা যাচ্ছে ১২ দলের সাথে মিটিং করছে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, এমিবা মাঝেমধ্যে নিজেকে দ্বিখণ্ডিত করে বাড়ে, সুতরাং, বিএনপি আর এমিবার মধ্যে প্রচুর মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে। ১২ দল আর ৩৬ দলের নাম যদি মির্জা ফখরুল সাহেব মুখস্ত বলতে পারেন আমি উনাকে ধন্যবাদ জানাব।

ফিলিস্তিনে ইসরাইলি হামলা নিয়ে প্রশ্নে সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান বলেন, সেখানে যেভাবে নির্বিচারে সাধারণ মানুষের ওপর হামলা পরিচালনা করা হচ্ছে, সাধারণ মানুষ নিহত হচ্ছে, এর তীব্র নিন্দা জানাই। পৃথিবীর মানবাধিকার সংস্থাগুলো বিভিন্ন দেশে পান থেকে চুল খসলে বিবৃতি দেয় বা অনেক ক্ষেত্রে বিবৃতি বিক্রি করে আর এই ক্ষেত্রে তারা নিশ্চুপ।

তিনি বলেন, যে সমস্ত দেশ মানবাধিকার নিয়ে নানা দেশকে পরামর্শ দেয়, তাদেরও কোনো বক্তব্য খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, যা খুবই দুঃখজনক। ফিলিস্তিনে যখন শিশুরা পাথর ছোড়ে সেটির প্রত্যুত্তরে ইসরাইলি বাহিনী বৃষ্টির মতো গুলি ছোড়ে, নির্বিচারে মানুষ হত্যা করে যা অত্যন্ত দুঃখের ও নিন্দাজনক। তবে যারা পৃথিবীতে মানবাধিকার নিয়ে কথা বলে, তাদের নীরবতা আরো বেশি দুঃখজনক।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত