ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

পুলিশ-ব্যবসায়ী ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া

গুলশান শপিং সেন্টার সিলগালা

ব্যবসায়ীদের সড়ক অবরোধ
গুলশান শপিং সেন্টার সিলগালা

ঝুঁকিপূর্ণ ভবন হওয়ায় রাজধানীর গুলশান ১ নম্বরে শপিং সেন্টার সিলগালা করার প্রতিবাদে গতকাল সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন ব্যবসায়ীরা। সড়ক অবরোধের কারণে গুলশান ও বনানীসহ আশপাশ এলাকায় যানজট সৃষ্টি হয়েছে। সাড়ে ৩ ঘণ্টা ধরে সড়ক অবরোধের পর পুলিশ ব্যবসায়ীদের সরাতে গেলে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরের পর এ ঘটনা ঘটেছে। বিকাল পৌনে ৪টা থেকে পুলিশ-ব্যবসায়ীদের সড়ক থেকে সরানোর চেষ্টা করে। এরপর ব্যবসায়ীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে ফিরে যাওয়ার সময় কয়েকটি প্রাইভেট কার ও বাস ভাঙচুর চালান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুলশান-১ নম্বর চত্বরে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। ব্যবসায়ীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যাওয়ার পর সন্ধ্যার আগে থেকে যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঝুঁকিপূর্ণ ভবন হওয়ায় গুলশান শপিং সেন্টার মার্কেটটি সিলগালা করেন। এ সময় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের বাগবিতণ্ডা হয়। ব্যবসায়ীদের দাবি, সময় না দিয়ে তাদের উচ্ছেদ করা হচ্ছে। তবে ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, যথেষ্ট সময় পেয়েছেন দোকানমালিক ও ব্যবসায়ীরা। অতিঝুঁকি বিবেচনায় ভবনটি সিলগালা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

সন্ধ্যায় জানতে চাইলে ট্রাফিক গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) এএসএম হাফিজুর রহমান বলেন, অল্প কিছু সময়ের জন্য ব্যবসায়ীরা সড়ক অবরোধ করেছিলেন। তবে বর্তমানে সড়ক স্বাভাবিক রয়েছে।

গুলশান জোনের সরকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) আব্দুল্লাহ আল মাসুম বলেন, প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা অবরোধের পর ব্যবসায়ীদের সড়ক থেকে সরে যাওয়ার কথা বললে তারা পুলিশের ওপর চড়াও হন। একপর্যায়ে পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকেন। এরপর তাদের ধাওয়া দিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, এ ঘটনায় গুলশান থানার পরিদর্শক (অপারেশনস) আমিনুল ইসলামসহ পুলিশের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত