ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ময়মনসিংহ নটর ডেম কলেজ

বেতন ফেরত দেয়ার দাবিতে ছাত্রদের সড়ক অবরোধ

বেতন ফেরত দেয়ার দাবিতে ছাত্রদের সড়ক অবরোধ

বোর্ড নির্দেশনা উপেক্ষা করে চার মাসের বেতন বেশি আদায়ের অভিযোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করেছে ময়মনসিংহ নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা চার মাসের বেতন ফেরত দেওয়ার দাবি জানায়। গতকাল রোববার দুপুরে ময়মনসিংহ নগরীর মাসকান্দা বাইপাস সড়কে এই বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধের ঘটনা ঘটে।

এ সময় কলেজ সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি সামাধানের আশ্বাস দিয়ে শিক্ষার্থীদের শান্ত করে।

খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে কলেজের ছাত্র পরিচালক ফাদার ইউবার্ট আলমা জানান, গত কয়েক দিন ধরে শিক্ষার্থীরা চার মাসের বেতন ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিল। এ নিয়ে গতকাল সকালে শিক্ষার্থীরা আবারো কথা বললে বিষয়টি দেখা হবে বলে আশ্বস্ত করা হয়। কিন্তু কিছুক্ষণ পর তারা সড়কে গিয়ে বিক্ষোভ শুরু করলে আমরা তাদের বুঝিয়ে শান্ত করে ফিরিয়ে নিয়ে এসেছি। তিনি আরো বলেন, বেতন বিষয়ে ঢাকা নটর ডেম যে সিদ্ধান্ত নিবে, আমরা তা বাস্তবায়ন করব। এক্ষেত্রে অবশ্যই সরকারি নির্দেশনা ও বোর্ডের নির্দেশ মেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নির্দেশনা পেলে আমরাও শিক্ষার্থীদের চার মাসের বেতন ফেরত দিয়ে দিব। একই ধরনের মন্তব্য করেছেন কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক মো. নূরুল হুদা। তিনি বলেন, নিয়ম অনুযায়ী আমরা ২৪ মাসের বেতন নিয়েছি। এরই মধ্যে বোর্ড থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বেতন নিতে বলেছে। এ নিয়ে ঢাকা নটর ডেমের সঙ্গে মিল রেখে আমরা সিদ্ধান্ত নিব। ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান গাজী হাসান কামাল বলেন, করোনার কারণে সেশন পিছিয়ে পড়ায় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বেতন আদায় করতে আন্তঃবোর্ডের নির্দেশনা রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলা হবে। এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছিল। তবে অল্পক্ষণের মধ্যেই কলেজ শিক্ষকরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের শান্ত করে নিয়ে গেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

ধর্ষণের ঘটনায় মূলহোতা গ্রেপ্তার: ময়মনসিংহে এক কিশোরী শিক্ষার্থীকে (১৩) ধর্ষণের ঘটনায় মূলহোতা ধর্ষক রফিকুল ইসলাম (২৩) গ্রেপ্তার হলেও এখনো সহযোগীরা পলাতক রয়েছে। এ নিয়ে বাদী পরিবারে ক্ষোভ ও অসস্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল রোববার দুপুরে মামলার বাদী মোস্তাফিজুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এ ঘটনায় গত ১২ জুলাই কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের হলে একদিন পর ১৩ জুলাই ঘটনার মূলহোতা ধর্ষক রফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-১৪। তবে এখন পর্যন্ত এই ধর্ষণ ঘটনার সহযোগী আরো তিন আসামি পলাতক রয়েছে বলে জানিয়েছেন মামলার বাদী মোস্তাফিজুর রহমান। মামলার পলাতক আসামিরা হলেন- নিপা আক্তার (৩৫), নেলি আক্তার (৩০) ও রাফা আক্তার (১৮)। এর আগে গত ২ জুন ময়মনসিংহ সদর উপজেলার কুষ্টিয়া ইউনিয়নের অলিপুর গ্রামে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।

ভিকটিমের বাবা মোস্তাফিজুর রহমান আরো জানান, আমি একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করার কারণে আমার স্ত্রী এক ছেলে ও দুই মেয়েকে নিয়ে বাড়িতে বসবাস করত। এরই মাঝে গত ২ জুন আমার ছোট ছেলে অসুস্থ হয়ে পড়লে আমার স্ত্রী তাকে নিয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যায়।

এই সুযোগে আমার বড় মেয়েকে বাড়িতে একা পেয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে রফিকুল ইসলাম নামের এক বখাটে। এতে সহযোগিতা করে অন্য আসামিরা। এ ঘটনায় আমার মেয়ে কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়লে বিষয়টি সে আমার স্ত্রীকে জানায়। মোস্তাফিজুর রহমানের অভিযোগ, এ ঘটনায় গত ১২ জুলাই চারজনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করি। ওই মামলায় সহযোগী আসামিরা এখনো পলাতক রয়েছে। আমি এ ঘটনায় আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারপূর্বক ন্যায়বিচার দাবি করছি। এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো. ফারুক হোসেন বলেন, মূল আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত