বুড়িগঙ্গায় ওয়াটার বাসডুবি

তিনজনের মরদেহ উদ্ধার, বাল্কহেডের ছয়জন আটক

প্রকাশ : ১৮ জুলাই ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  জবি প্রতিনিধি

ঢাকার বুড়িগঙ্গায় বাল্কহেডের ধাক্কায় ডুবে যাওয়া ওয়াটার বাসটি নদীর কিনারে টেনে তোলা হয়েছে। গতকাল বিআইডব্লিউটিএ’র উদ্ধারকারী জাহাজ ‘রুস্তম’ নৌযানটি উদ্ধারে অভিযান চালায়। গত রোববার রাত সোয়া ৮টার দিকে ওয়াটার বাসটি যাত্রী নিয়ে ডুবে যায়। রাত ৯টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযান শুরু করে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে সাতজনকে। ডুবে যাওয়ার সময় নৌযানটিতে কতসংখ্যক যাত্রী ছিল তা সঠিকভাবে জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস কিংবা পুলিশ। তবে বেঁচে ফেরা যাত্রীদের ধারণা, এতে অর্ধশতাধিক যাত্রী ছিলেন।

সদরঘাট নৌ-থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাসান মারুফ বলেন, ‘রোববার রাত প্রায় ৩টার দিকে উদ্ধার অভিযান শিথিল করা হয়। গতকাল আবার অভিযান শুরু হয়। সকাল ৭টার দিকে ওয়াটার বাসটি কিনারায় তোলা হয়েছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তমের সাহায্যে ওয়াটার বাসটি টেনে পোস্তগোলা ব্রিজের দিকে নেওয়া হয়। সেখানে নৌযানটি টেনে তোলা হয়েছে।’ গতকাল সকালে উদ্ধার অভিযান শুরুর পর এখন পর্যন্ত আর কোনো মরদেহ বা জীবিত কাউকে উদ্ধার করা যায়নি। তবে উদ্ধারকাজ চলমান রয়েছে।

এসআই জানান, নিহত তিনজনের মধ্যে দুজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাদের মরদেহ পরিবারে হস্তান্তর করা হয়েছে। তারা হলেন কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়ার মো. বাবু মিয়ার ছেলে ১৪ বছরের মো. আলিফ, দোহারের জয়পাড়ার সবুজের ছেলে ২০ বছরের মো. ফাহিম। তাৎক্ষণিকভাবে অন্য মরদেহের পরিচয় মেলেনি। তার বয়স আনুমানিক ৫৫ বছর। মরদেহ মিডফোর্ট হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে। এর আগে সদরঘাট ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার স্টেশন অফিসার আবদুল মালেক বলেন, ‘আমরা অনেক চেষ্টা করেছি ওয়াটার বাসটি তোলার। এয়ারব্যাগ ব্যবহার করা হয়েছে, তারপরও তোলা সম্ভব হয়নি। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তম আনা হয়।’

এদিকে এ ঘটনায় বাল্কহেডের ছয় কর্মচারীকে আটক করা হয়েছে। তাদের সদরঘাট নৌ-থানায় নেওয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান সদরঘাট নৌ-থানার এসআই হাসান মারুফ।