চিকিৎসকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার

প্রকাশ : ১৯ জুলাই ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

ভুল চিকিৎসায় নবজাতক ও মায়ের মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলায় দুই চিকিৎসককে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ডাকা দুই দিনের কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেছেন চিকিৎসকরা। গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সার্জন-এর সভাপতি ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এবিএম খুরশীদ আলম এ ঘোষণা দেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসকদের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি বলেন, আমরা জানতে পেরেছি, গ্রেপ্তার দুই চিকিৎসককে জামিন দেওয়া হয়েছে। তাই আমরা আমাদের কর্মসূচি আপাতত উইথড্র করে নিচ্ছি। আজ এখন থেকেই সবাই কাজে ফিরে যাবেন। চিকিৎসকরা চেম্বার করবেন, রোগী দেখবেন। সব ধরনের অস্ত্রোপচারসহ বাকি সব কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চলবে। এর আগে গত ১৫ জুলাই নবজাতক ও মায়ের মৃত্যুর ঘটনায় দুই চিকিৎসক গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সোমবার ও গতকাল মঙ্গলবার সারাদেশে প্রাইভেট চেম্বার ও অপারেশন বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন চিকিৎসকরা। ওইদিন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) ও অবস্ট্রেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনেকোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশের (ওজিএসবি) যৌথ বৈঠক শেষে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। গত ৯ জুন সেন্ট্রাল হসপিটালে অধ্যাপক ডা. সংযুক্তা সাহার (গাইনি) অধীনে ভর্তি হন মাহাবুবা রহমান আঁখি। কিন্তু সেদিন ডা. সংযুক্তা হসপিটালেই ছিলেন না। পরে তার দুই সহযোগী চিকিৎসক আঁখির প্রসব করানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু জটিলতা দেখা দেওয়ায় নবজাতককে এনআইসিইউতে রাখা হয়। একইসঙ্গে আঁখির অবস্থার অবনতি হলে তাকে ল্যাবএইড হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ১০ জুন বিকালে সেন্ট্রাল হসপিটালে আঁখির নবজাতক সন্তান মারা যায়। এ ঘটনায় আঁখির স্বামী ইয়াকুব আলী ধানমন্ডি থানায় ‘অবহেলাজনিত মৃত্যুর একটি মামলা করেন। মামলায় ডা. শাহজাদী মুস্তার্শিদা সুলতানা, ডা. মুনা সাহা, ডা. মিলি, সহকারী জমির, এহসান ও হাসপাতালের ম্যানেজার পারভেজকে আসামি করা হয়। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজনকেও আসামি করা হয়েছে। মামলার পর ১৫ জুন রাতে ডা. শাহজাদী ও ডা. মুনা সাহাকে হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ১৮ জুন দুপুর ১টা ৪৩ মিনিটে ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মাহবুবা রহমান আঁখিও। সবশেষ গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান সোহাগ উদ্দিনের আদালত ডা. শাহজাদী ও ডা. মুনা সাহার জামিন মঞ্জুর করেন।