ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

নির্মাণসামগ্রীর দাম সমন্বয়

প্রকল্পের ‘রেট শিডিউল’ পুনর্নির্ধারণের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

প্রকল্পের ‘রেট শিডিউল’ পুনর্নির্ধারণের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্মাণসামগ্রীর পরিবর্তিত মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে উন্নয়ন প্রকল্পের বিভিন্ন কাজের ‘রেট শিডিউল’ সংশোধনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ প্রদান করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী উন্নয়ন প্রকল্পের খসড়া তৈরির আগে মার্কিন ডলারের সর্বশেষ বিনিময় হার বিবেচনায় নেওয়ারও পরামর্শ দেন। কেননা মার্কিন ডলারের বিনিময় হার প্রায়ই প্রকল্পের সামগ্রিক ব্যয়কে প্রভাবিত করে। গতকাল রাজধানীর শেরেবাংলানগরে এনইসি সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় তিনি এ নির্দেশনা প্রদান করেন। প্রধানমন্ত্রী সভায় সভাপতিত্ব করেন।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। তিনি বলেন, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন লোহা, সিমেন্ট, পাথর ও ইটের মতো নির্মাণসামগ্রীর মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। যার ফলে উন্নয়ন প্রকল্প প্রণয়নের সময়ের ‘রেট শিডিউল’এর তুলনায় প্রায়ই দেখা যায় বাস্তবায়ন সময়কালে নির্মাণসামগ্রীর দাম বেড়ে গেছে, যেটি ক্রমবর্ধমান বিশ্ব অর্থনীতিতে ঘটে বলে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন। শেখ হাসিনা এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজন অনুযায়ী মূল্য নির্ধারণ (রেট শিডিউল) ও নির্মাণসামগ্রীর মূল্য পরিবর্তন করতে বলেছেন।

মার্কিন ডলারের বিনিময় হার উন্নয়ন প্রকল্পের সামগ্রিক ব্যয়কে প্রভাবিত করে উল্লেখ করে এমএ মান্নান বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রকল্পসমূহের সামগ্রিক ব্যয় বা অনুমিত আর্থিক ব্যয় চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে ডলারের সর্বশেষ বিনিময় হারকে সমন্বয় করার পরামর্শ দেন। মান্নান আরো বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী অর্থ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমূহকে এ বিষয়টি সমাধানের জন্য সুস্পষ্ট নির্দেশ প্রদান করেছেন’। পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী সুপ্রিমকোর্টে বিচারাধীন কর সংক্রান্ত মামলাসমূহ নিষ্পত্তির জন্য আইন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ প্রদান করেছেন এবং বলেছেন মামলা নিষ্পত্তির মাধ্যমে কর আদায় ও রাষ্ট্রীয় কোষাগারকে সমৃদ্ধ করতে হবে।

উড়িরচর-নোয়াখালী ক্রস ড্যাম নির্মাণ প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে এমএ মান্নান বলেন, প্রধানমন্ত্রী এই প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে বিশেষ সতর্ক থাকতে বলেছেন, কারণ এই প্রকল্পের সঙ্গে উপকূলীয় এলাকা সম্পৃক্ত রয়েছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী সতর্ক করে দিয়েছেন যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সময় পার্শ্ববর্তী দ্বীপ, জায়গা এবং চ্যানেলগুলো যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

মৌসুমি ফল ও সবজি সংরক্ষণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামের মতো দেশ ফল সংরক্ষণ ও বোতলজাত করে ব্যবসা এবং রপ্তানিতে সফল হয়েছে। বাংলাদেশেও এ ধরনের পদ্ধতি অনুসরণ করা যেতে পারে। একই এলাকায় যেন দ্বৈত প্রকল্প গ্রহণ না করা হয় সেজন্য প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের আরো সতর্ক থাকতে বলেন এবং সমন্বিতভাবে কাজ করার নির্দেশ দেন। প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত্ত করে এমএ মান্নান বলেন, ‘ওভার ল্যাপিং হলে টাকার অপব্যবহার হতে পারে।’

‘আমার গ্রাম- আমার শহর: পাইলট গ্রাম উন্নয়ন’ প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, শেখ হাসিনা বলেছেন, এটি একটি পাইলট প্রকল্প এবং ভবিষ্যতে এই প্রকল্পের অভিজ্ঞতা কাজে লাগতে পারে। তবে, তিনি বলেছেন সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমূহ সমন্বিতভাবে কাজ করলে, একই নামে ভবিষ্যতে এ ধরনের আর কোনো প্রকল্প নেওয়া লাগবে না। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, একনেক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীকে সাক্ষরতা মূল্যায়ন (লিটারেসি অ্যাসেসমেন্ট) এবং আইসিটি ব্যবহার বিষয়ে বিবিএস’র দুটি জরিপের ফলাফল সম্পর্কে অবহিত করা হয়। এতে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত