ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

রোহিঙ্গা মামলা

গাম্বিয়াকে সমর্থন করায় মালয়েশিয়াকে ধন্যবাদ মোমেনের

গাম্বিয়াকে সমর্থন করায় মালয়েশিয়াকে ধন্যবাদ মোমেনের

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন রোহিঙ্গা গণহত্যা নিয়ে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) মামলায় গাম্বিয়াকে সমর্থন করার জন্য মালয়েশিয়া সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। সেই সাথে নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের মাধ্যমে রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানের লক্ষ্যে বিভিন্ন আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক ফোরামে আরো জোরালো ভূমিকা রাখার জন্য মালয়েশিয়ার প্রতি আহ্বানও জানান তিনি। গত ১৪ জুলাই ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় ৩০তম আসিয়ান আঞ্চলিক ফোরাম (এআরএফ) সম্মেলনের ফাঁকে মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাতো সিরি দিরাজ ড. জামব্রে আবদুল কাদিরের সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এ আহ্বান জানান। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে। বৈঠকে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে বিষদ পর্যালোচনা করা হয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রীরা সম্পর্ক আরো সৃদৃঢ় করার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

জনশক্তি বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষরের প্রশংসা করে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এজেন্সি নিয়োগ সম্পূর্ণভাবে মালয়েশিয়া সরকারের এখতিয়ারের

অধীনে এবং দরিদ্র লোকরা যাতে বঞ্চনার শিকার না হন, তা নিশ্চিত করতে অনুরোধ জানান তিনি। তাছাড়া তিনি বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর ওপরও জোর দেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রী বাণিজ্য, জ্বালানি, কৃষি প্রক্রিয়াকরণ শিল্প, ওষুধ, আইসিটি খাতে বিশেষ করে বাংলাদেশের ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের আহবান জানান। মন্ত্রী তার প্রতিপক্ষকে পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আসিয়ানের জোরালো ভূমিকা চান মোমেন : বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে আসিয়ানের সক্রিয় ভূমিকা চেয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন। একই সঙ্গে মন্ত্রী আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়লগ পার্টনার হতে জোটটির সেক্রেটারি জেনারেল ডা. কাও কিম হার্নের সহযোগিতা চেয়েছেন। জাকার্তায় আসিয়ান সেক্রেটারি জেনারেলের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে ড. মোমেন এসব বিষয়ে সহযোগিতা চান বলে গত মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ড. মোমেন আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়লগ পার্টনার হতে জোটটির সেক্রেটারি জেনারেলের সহযোগিতা চাইলে তিনি বাংলাদেশের প্রচেষ্টাকে পূর্ণ সমর্থন দেওয়ার আশ্বাস দেন।

মোমেন হার্নকে বলেন, আসিয়ান ও সার্কের মধ্যে অবস্থিত হওয়ায় বাংলাদেশ আসিয়ান দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং ব্যাপক অর্থনৈতিক সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে ভালো সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছে। আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনারের মর্যাদা পেলে বাংলাদেশ এ দুটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলের সেতুবন্ধনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত