ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

রংপুরে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা জনসমুদ্রে পরিণত হবে

বললেন তথ্যমন্ত্রী
রংপুরে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা জনসমুদ্রে পরিণত হবে

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আগামী ২ আগস্ট রংপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা জনসমুদ্রে পরিণত হবে। বিএনপি যদি জনজীবনে অশান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা করে, তা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দমন করা হবে। তিনি বলেন, বিগত নির্বাচনের আগে দেশে তাণ্ডবের সামথ্য নেই বিএনপির। তারা ২০১৩-১৪-১৫ সালের মতো দেশে তাণ্ডব চালাতে পারবে না। বিএনপি এখন পা ভাঙা বাঘ আর খাঁচায় বন্দি সিংহ। জনগণের শান্তি-শৃঙ্খলা নষ্ট ও সমৃদ্ধি স্তব্ধ করতে চাইলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টায় রংপুর শিল্পকলা একাডেমিতে আওয়ামী লীগের রংপুর বিভাগীয় বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্যমন্ত্রী। সেখানে দেশের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কথা বলেন তিনি।

রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত ড. হাছান মাহমুদ তার বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে জনসমুদ্রে পরিণত করার লক্ষ্যে আগামী ১০ দিন রংপুর বিভাগের প্রতিটি জেলা, উপজেলা, পাড়া-মহল্লায় প্রতিটি এলাকা, রংপুর বিভাগ ও সমগ্র দেশের উন্নয়নের বর্ণাঢ্য প্রচারের জন্য সব স্তরের নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাষণ, মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা ও উন্নয়নের গান প্রচারের মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ করলে মানুষের উপস্থিতি হবে স্বতঃস্ফূর্ত।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘নির্বাচনের আগে সরকারের পদত্যাগ ও সংসদ বিলুপ্তির দাবি জানিয়ে বিএনপি প্রমাণ করেছে, দেশে সাংবিধানিক সংকট তৈরি করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিই তাদের উদ্দেশ্য। কিন্তু আমরা শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ, যে নেত্রীর শরীরে বঙ্গবন্ধুর রক্তস্রোত প্রবহমান, যে রক্ত পরাজয় জানে না, পরাভব মানে না। আমরা বিএনপির ২০১৩-১৪-১৫ সালের অগ্নিসন্ত্রাস মোকাবিলা করেছি, এবারও তারা যদি অশান্তি সৃষ্টি করতে চায়, আমরা তা করতে দেব না, জনগণ তা করতে দেবে না, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর হস্তে বিশৃঙ্খলা দমন করা হবে।’

হাছান বলেন, ‘বিএনপির অনেক আন্দোলন বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে, গত বছরের আন্দোলন গরুর হাটে মারা গেছে। এবারের আন্দোলন কোথায় মারা যায়, সেটিই দেখার বিষয়।’

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কোষাধ্যক্ষ ও রংপুর-৫ আসনের এমপি এইচএন আশিকুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির আহমেদ, জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বিশেষ অতিথি, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী প্রধান বক্তা, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপপ্রচার সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম, কেন্দ্রীয় সদস্য অ্যাডভোকেট সফুরা বেগম রুমি, অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তৃতা দেন। এর আগে রংপুর বিভাগে আওয়ামী লীগের ৯টি সাংগঠনিক জেলা, মহানগর ও উপজেলাগুলোর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, জেলা পরিষদগুলোর চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়ররা এ বর্ধিত সভায় বক্তব্য রাখেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত