ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

এফএও সদর দপ্তরে বাংলাদেশ-বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কক্ষ উদ্বোধন

এফএও সদর দপ্তরে বাংলাদেশ-বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কক্ষ উদ্বোধন

খাদ্য ও কৃষি সংস্থা-এফএও সদর দপ্তরে বাংলাদেশ-বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কক্ষের উদ্বোধন করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এফএও মহাপরিচালক কিউ ডংইউ’র উপস্থিতিতে এক অনুষ্ঠানে কক্ষটি উদ্বোধন করেন।

ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত জাতি গড়ার স্বপ্নদ্রষ্টা ও দেশে কৃষি খাতে ‘সবুজ বিপ্লব’ সূচনাকারী বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০০তম জন্মবার্ষিকী স্মরণে এই কক্ষ প্রতিষ্ঠা করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার দেশ বাংলাদেশ এফএও সদর দপ্তরে এই ছোট্ট অংশটি পেয়ে অত্যন্ত আনন্দিত।

এই আয়োজন সম্ভব করতে সর্বাত্মক সহযোগিতার জন্য প্রধানমন্ত্রী এফএও মহাপরিচালক ও তার দলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ১৯৭৩ সালে এফএও’র সদস্যপদ লাভ করে। বাংলাদেশের জনগণকে নিপীড়ন, দারিদ্র্য ও ক্ষুধা থেকে মুক্ত করাই বঙ্গবন্ধুর সারা জীবনের লক্ষ্য ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আনুষ্ঠানিকভাবে তার নাম বহনকারী এই কক্ষটি উদ্বোধন উপলক্ষ্যে আমি তার স্মৃতি প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।’ তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ এবং এফএও’র মধ্যে ৫০ বছরের চমৎকার সম্পর্কের প্রতীক এই কক্ষ।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘ক্ষুধা ও অপুষ্টি দূরীকরণে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমার জীবনের লক্ষ্য হচ্ছে দেশের সব মানুষের জন্য একটি ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা এবং আমরা আমাদের সংগ্রামের প্রায় শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছি।’

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, আমি আশা করছি- এই কক্ষে বসে আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিরা আমাদের অর্জনগুলোকে এক মুহূর্তের জন্য হলেও ভাববেন।

‘আমি আশা করি তারা সারা বিশ্বে খাদ্য নিরাপত্তা ও টেকসই প্রচারে আমাদের উদাহরণ থেকে অনুপ্রেরণা নেবে’ উল্লেখ করেন তিনি। সদ্য সজ্জিত কক্ষটিতে বাংলাদেশের একজন কৃষকের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের একটি চিত্র রয়েছে। ‘মুজিব বর্ষ’ ২০২০-২১ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালনের সময় এ শৈল্পিক কাজটি করা হয়েছিল। এটি গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে স্থান পেয়েছে। এটি আমাদের সাধারণ মানুষের হৃদয়ে বঙ্গবন্ধুর স্থানের সাক্ষ্য বহন করে। শেখ হাসিনা বলেন, ক্ষুধা ও অপুষ্টির বিরুদ্ধে তাদের কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৯৯ সালে তাকে দেওয়া সেরেস অ্যাওয়ার্ডের একটি চিত্রও রয়েছে। তিনি আরো বলেন, ‘এটি ছিল আমাদের কৃষক এবং কৃষি শ্রমিকদের কঠোর পরিশ্রমের যথার্থ সম্মান।’ শেখ হাসিনা গত মাসে তার জেনেভা সফরে বাংলাদেশর শ্রমিক ও মেহনতি জনগণের কথা বলেছেন উল্লেখ করে বলেন, ‘এবার আমি আমাদের ১৬ কোটি ৮০ লাখ মানুষের খাদ্য উৎপাদনে কৃষকদের অবদানের কথা বলতে এখানে এসেছি।’

তিনি বছরের পর বছর ধরে তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য জাতিসংঘের সমগ্র খাদ্য ব্যবস্থার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আশা করছি ‘বাংলাদেশ-বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রুম’র দর্শনার্থীদের আনন্দ দেবে, তারা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবে এবং উদ্বুদ্ধ করবে।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত