রেলওয়ের জমি দখলকারীদের তালিকা দাখিলে

হাইকোর্টের নির্দেশ

প্রকাশ : ২৬ জুলাই ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

বিভিন্ন জেলায় রেলওয়ের কী পরিমাণ জমি অবৈধ দখলে আছে, সেই দখলকারীদের তালিকা তৈরি করে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে রেলওয়ে সচিব ও মহাপরিচালককে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার এ বিষয়ে এক সম্পূরক আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। গতকাল আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। তাকে সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট রিপন বাড়ৈ। অপরদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সাইফুদ্দিন খালেদ। গতকাল মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে এ আবেদন করা হয়। আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, দেশের বিভিন্ন জেলায় রেলওয়ের জায়গা অবৈধভাবে দখল কারিদের তালিকা তৈরি করে ৩০ দিনের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রুলে সারাদেশে রেলওয়ের সম্পত্তি অবৈধ দখল মুক্ত করতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভিন্ন জেলায় থাকা সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলকারীদের উচ্ছেদ করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। দুই সপ্তাহের মধ্যে রেলওয়ে সচিব ও মহাপরিচালক, পরিচালক, সহকারী ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া আদালত রেলওয়ের সচিব ও মহাপরিচালককে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে বিভিন্ন জেলায় রেলওয়ের কী পরিমাণ জমি অবৈধ দখল আছে এবং দখলকারীদের তালিকা তৈরি করে আদালতে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

শুনানিতে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, ২০১৬ সালে নারায়ণগঞ্জে রেলওয়ের জায়গা অবৈধ দখলকারীদের উচ্ছেদের নির্দেশনা চেয়ে একটি রিট পিটিশন দায়ের করার পরবর্তীতে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, পাবনাসহ বিভিন্ন জেলায় শত শত একর জমি অবৈধভাবে দখল করা আছে- মর্মে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। আদালতে তিনি বলেন, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কতিপয় অসাধু কর্মচারীদের যোগসাজশে হাজার হাজার একর সম্পত্তি বেদখল হয়ে আছে যা মূলত জনগণের সম্পত্তি এবং এগুলো উদ্ধারের জন্য নির্দেশনা প্রয়োজন। আদালত হস্তক্ষেপ না করলে এসব জনগণের সম্পত্তি উদ্ধার করা সম্ভব হবে না।