ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

জনমুখী প্রশাসন গড়ে তোলার কাজ অব্যাহত থাকবে

জনমুখী প্রশাসন গড়ে তোলার কাজ অব্যাহত থাকবে

সারা দেশে সেবার মান বাড়তে প্রযুক্তিনির্ভর দক্ষ ও দুর্নীতিমুক্ত জনমুখী প্রশাসনিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার কাজ অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

গতকাল রোববার সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম’র (বিএসআরএফ) উদ্যোগে আয়োজিত ‘বিএসআরএফ সংলাপ’ এসব কথা বলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী। বিএসআরএফ সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব।

ফরহাদ হোসেন বলেন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বড় বড় প্রকল্প চলমান রয়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে কাজ করছে জনপ্রশাসন। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। সেক্ষেত্রে প্রশাসনের স্বচ্ছতা, জবাবদহিতা, ন্যায়পরায়ণতা নিশ্চিত করা হচ্ছে। প্রশাসনের দায়িত্ব হবে নির্ধারিত নীতিমালা ও নির্বাহী নির্দেশাবলি বাস্তবায়ন করা।

ই-নথি সম্পর্কে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০১৯ সালে ই-নথি বাস্তবায়নের হার ছিল ৩০ শতাংশ। বর্তমানে ই-নথি বাস্তবায়নের হার ৯৯ দশমিক ৩৩ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে। সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগের মধ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২০২১-২২ অর্থবছরে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) এবং শুদ্ধচার কৌশল বাস্তবায়নে প্রথম স্থান অর্জন করেছে।

বিশেষ বিশেষ মন্ত্রণালয় থেকে জেলাপ্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে ফরহাদ হোসেন বলেন, ফিটলিস্ট কিংবা কর্মকর্তাদের আমলনামা পর্যালোচনা করা হয়। এর পরই যোগ্যরা জেলাপ্রশাসক হিসেবে নিয়োগ পান। এখানে কোনো পক্ষপাত নেই। যোগ্যতা অনুযায়ী সেরা কর্মকর্তাদের ডিসি বানানো হচ্ছে। আর বেছে বেছে সেরা কর্মকর্তাদের মন্ত্রীদের একান্ত সচিব (পিএস) পদে নিয়োগ দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় মন্ত্রণালয় থেকে। কেউ যাতে ইচ্ছেমতো পিএস নিয়োগ দিতে না পারেন, সে জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রধানমন্ত্রী উদ্যোগ গ্রহণ করে পিএস দিয়েছেন। কোনো মন্ত্রী জানেন না, কোন পিএস আসবেন। এখানে নিয়োগ দেওয়ার সময়ে দেওয়া হয়েছে সেরা কর্মকর্তাদের। কারণ, তিনি মন্ত্রীর সঙ্গে থাকবেন, তিনি যাতে যথাযথভাবে সাহায্য করতে পারেন। কয়েকজন জেলা প্রশাসককে প্রত্যাহারের বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, মাঠ প্রশাসন দেখে কেবিনেট ডিভিশন (মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ)। যারা মাঠে কাজের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারেনি, কারো কারো বিরুদ্ধে মাঠ প্রশাসনে অভিযোগ ছিল, তাই মাঠ থেকে কয়েকজন ডিসিকে তুলে এনেছি। মাঠে যোগ্য অফিসার দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি। যে কয়জন ডিসিকে মাঠ থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে, তাদের মধ্যে ২২তম ব্যাচের কয়েকজনকে যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হচ্ছে। ২৬ ও ২৮ ব্যাচের কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দিয়ে জেলা প্রশাসক হিসেবে পদায়ন করা হচ্ছে। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএসআরএফ’র সহ-সভাপতি এমএ জলিল মুন্না, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহদী আজাদ মাসুম, অর্থ সম্পাদক শফিউল্লাহ সুমন, দপ্তর সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক ফারুক আলম, কার্যনির্বাহী সদস্য ঝর্ণা রায়, আসাদ আল মাহমুদ, উবায়দুল্লাহ বাদল, ইবরাহীম মাহমুদ আকাশ, রাকিব হাসান, মহসীনুল করিম লেবু ও আয়নাল হোসেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত