ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

রংপুরে ওবায়দুল কাদের

সময় বেশি নেই ফাইনাল খেলা ডিসেম্বরে

সময় বেশি নেই ফাইনাল খেলা ডিসেম্বরে

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সময় বেশি নেই, ডিসেম্বরে ফাইনাল খেলা। বিএনপির এক দফা খাদে পড়ে গেছে। ওই দলের কোমর ভেঙে গেছে। ওই দল আর পারবে না। খাদে পড়া দলের দফা বাস্তবায়ন হবে না। গোলাপবাগের গরুর হাটে কোমর একবার ভেঙেছে। এবার হোসরাওয়ার্দীতে গিয়ে পথের মধ্যে হাঁটু ভেঙেছে।

গতকাল বিকালে রংপুরের জিলা স্কুল মাঠে বিভাগীয় জনসমবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, উত্তরবঙ্গের সব মানুষ চলে এসেছে ঢলের মতো রংপুর শহরে। সাম্প্রতিককালের এটাই হচ্ছে স্মরণকালের সর্ববৃহৎ জনসমাবেশ। বিএনপির প্রধান নেতা তারেক রহমান? সে কি ইলেকশন করতে পারবে? ২০ বছরের সাজা অর্থপাচারের অপরাধে। মুচলেকা দিয়ে বাংলাদেশ থেকে লন্ডনে চলে গেছে। সেই হলো তারেক রহমান। আরেক নেতা কে? খালেদা জিয়া। নির্বাচন করার যোগ্যতা কি তার আছে? এতিমের টাকা আত্মসাৎ করে আজকে কনভিকশন নিয়ে নির্বাচনের যোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘যুবরাজও’ শেষ, ‘দেশনেত্রীও’ শেষ। কে বিএনপির নেতা। কার নেতৃত্বে নির্বাচন আর আন্দোলন করবে বিএনপি? আমরা তো ঘোষণা দিয়েছি, আমাদের নির্বাচনের নেতা শেখ হসিনা। আমাদের আন্দোলনের নেতাও শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের শিকড় মাটির অনেক গভীরে। শেখ হাসিনার ক্ষমতা বাংলাদেশের জনগণের ক্ষমতা। এই জনতা আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশের মানুষের শক্তি। আমরা পালাব না। পালিয়েছে আপনাদের নেতা। তারেক রহমান কি পালায়নি? কোথায় পালিয়েছে? কবে আসবে? কে জানে? সাহস নেই। আসলে তো জেলে যেতে হবে। সাহস থাকলে তো আসেন। রাজপথে খেলা হবে। মোকাবিলা হবে। রাজপথেই ফায়সালা হবে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা রাজপথেও আছি। নির্বাচনেও আছি। যারা রাজপথে হেরে গেছেন। তারা নির্বাচনেও হেরে যাবেন।

রংপুরবাসীর উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গঙ্গার পানি পেয়েছেন। তার নেতৃত্বেই তিস্তার পানিও পাবেন। ধৈর্য ধরেন। ১৯৭৫ সালের পর বাংলাদেশের সবচেয়ে অর্জন শেখ হাসিনা। আর গত ১৫ বছরে এই জাতি যা অর্জন করেছে, তার সবই শেখ হাসিনা দিয়েছেন। এই অর্জনকে কোনোভাবেই নষ্ট করতে দেওয়া যাবে না। সারা বিশ্বের জন্য তিনি একমাত্র আমাদের বড় অর্জন।

রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ডা. দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে জনসমাবেশে আরো বক্তব্য দেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ এইচএন আশিকুর রহমান, সাবেক সাংস্কৃতিক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর প্রমুখ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত