টাস্কফোর্সের প্রথম সভায় প্রধানমন্ত্রী

স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য দক্ষ জনশক্তি গড়তে হবে

প্রকাশ : ০৪ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে এখন থেকেই দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে হবে। গতকাল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ টাস্কফোর্স’-এর প্রথম সভায় তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলব, তার জন্য দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা অর্থাৎ ডিজিটাল ডিভাইসগুলো ব্যবহার করা, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার; এখন থেকে তৈরি করতে হবে আমাদের দেশের মানুষকে। স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে যথাযথ পরিকল্পনা এবং দেশের মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, মানুষের ভেতরের সৃজনশীলতা, তাদের চিন্তাভাবনা, সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার ভাবনাগুলো বের করে এনে, কাজের সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে হবে। আমাদের শিক্ষা-দীক্ষা সব কিছুতেই সেগুলো কাজে লাগাতে হবে। বিশেষ করে নতুন প্রজন্মকে স্মার্ট বাংলাদেশের উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। নিউ জেনারেশনকে সেভাবে তৈরি করতে হবে, শিক্ষায়-দীক্ষায়, প্রযুক্তিতে। প্রযুক্তিকে সাধারণ মানুষের মাঝে আরো ছড়িয়ে দিতে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ টাস্কফোর্স’-কে কাজ করার নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল ডিভাইসের ফলে আমাদের নতুন-নতুন দ্বার উন্মুক্ত হচ্ছে। তবে সেই সঙ্গে সেসব কাজের জন্য উপযুক্ত দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে হবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা এবং (ডিজিটাল ডিভাইস, তথ্যপ্রযুক্তি) ব্যবহারটা আরো ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য করণীয়গুলো ঠিক করতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রস্তুতি হিসেবে ধাপে ধাপে আমরা কী কী কাজ করব, সেগুলো এখনই ঠিক করতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, জনশক্তিই হচ্ছে আমাদের একটা বড় শক্তি। জনশক্তিকে সেভাবে প্রস্তুত করে নিতে হবে। দেশের ভাষা শেখা, শিক্ষার মান বৃদ্ধি এবং বিষয় ভিত্তিক পড়াশোনা ও দক্ষতা উন্নয়নের জোড় দিতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশে কোনো দারিদ্র থাকবে না। বাংলাদেশের মানুষ উন্নত সমৃদ্ধ-জীবন যাপন করবে। স্মার্ট বাংলাদেশে উদ্ভাবনী শক্তিগুলোকে বিকশিত করে মানুষের জীবনমান উন্নত করাই আমাদের লক্ষ্য। তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা কত পিছিয়ে ছিলাম, আমরা তো ৯৬ সালে সরকারে এসেছি, তখন সারা বিশ্বে সবাই ইন্টারনেট, কম্পিউটার ব্যবহার করে, আমরা তখন পিছিয়ে ছিলাম। সেই জায়গা থেকে আমরা আজকে এত দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছি, এখন অনেক উন্নত দেশও আমাদের থেকে পিছিয়ে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে যারা সমালোচনা করেছিল তারাই এখন সবচেয়ে বেশি সুবিধা নিচ্ছে। আমরা তাদের কথায় কান দেইনি। এগিয়ে গেছি আমাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে। নির্বাচনি ইশতেহার অনুযায়ী কাজ করে যাওয়ায় দেশের সবক্ষেত্রেই উন্নতি হচ্ছে। ডিজিটাল থেকে আমরা এখন স্মার্ট বাংলাদেশের পথে। আমাদের নির্বাচনি ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, সেটি পূরণ করেছি। এবার সরকারের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ‘স্মার্ট বাংলাদেশে’ রূপান্তর করা। স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট সোসাইটি, স্মার্ট ইকোনমি ও স্মার্ট গভর্নমেন্ট- এ চারটি মূল ভিত্তিকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ সরকার একটি সাশ্রয়ী, টেকসই, বুদ্ধিদীপ্ত, জ্ঞানভিত্তিক, উদ্ভাবনী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে যাত্রা শুরু করেছে।

এসময় ডিজিটাল পেমেন্টের কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা পরীক্ষামূলকভাবে বিভিন্ন বিল অনলাইনে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলাম। এখন এর সুফল ভোগ করছে জনগণ। আগের মতো আর সিরিয়াল দিয়ে কোথাও দাঁড়িয়ে থাকতে হয় না।