পঞ্চগড়ে দায়িত্বরত অবস্থায় রাইফেলের গুলিতে ফিরোজ আহমেদ (২৫) নামে এক পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে পৌর শহরের সোনালী ব্যাংকের ভেতর এ ঘটনা ঘটে। ওই পুলিশ কনস্টেবল দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার পলি মির্জাপুর আবতাবগঞ্জ এলাকার আবু সাঈদের ছেলে। পুলিশের ধারণা দাম্পত্য কলহের কারণে ফিরোজ আহমেদ আত্মহত্যা করতে পারেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গভীর রাতে জেলা শহরের সোনালী ব্যাংকে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনের সময় নিজের চায়না রাইফেল দিয়ে মাথায় গুলি করেন তিনি। গুলির শব্দ শুনে দায়িত্বরত সহকর্মীরা ছুটে এসে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে জেলা আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জানা যায়, গত ৩১ জুলাই পঞ্চগড় সোনালী ব্যাংকের গার্ড হিসেবে যোগদান করেন ফিরোজ। শহরে তিনি স্ত্রীসহ বসবাস করতেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ব্যাংকে দায়িত্ব পালনের সময় ফিরোজকে মোবাইল ফোনে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করতে দেখেন সহকর্মী পুলিশ সদস্যরা। ওই সময়ই তিনি নিজের রাইফেলের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হন। আধুনিক সদর হাসপাতালের মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. মির্জা সাইদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ওই পুলিশ সদস্যকে হাসপাতালে আনার আগেই তিনি মারা যান। গুলিটি তার থুতনির নিচে ও মাথার ওপরে গর্তসহ মারাত্মক জখম হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।
পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিঞা জানান, রাতে তিনি দায়িত্ব পালনের সময় গুলিতে মারা যান। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, দাম্পত্য কলহের কারণে তিনি নিজেই নিজের মাথায় গুলি করে আত্মহত্যা করেছেন। তার গ্রামের বাড়িতে পরিবারকে জানানো হয়েছে। ওসি আরো জানান, মরদেহের সুরতহাল নির্ণয় করে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। জানাজার পর কনস্টেবল ফিরোজের মরদেহ তার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আইনি প্রক্রিয়া শেষে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
