ছাত্র মারধর ও নারী হেনস্তা

জবিতে পাল্টাপাল্টি অভিযোগে তদন্ত কমিটি গঠন

প্রকাশ : ০৫ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  জবি প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসাসেবা নেওয়ার সময় এক শিক্ষার্থীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। পরে ওই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাখা ছাত্রলীগের নারী কর্মীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছেন একজন ছাত্রী। দুইপক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে একটি তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটিতে একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. শফিকুল ইসলামকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। বাকি দুজন সদস্য হলেন, বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. দীপিকা রানী সরকার ও সহকারী প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. সায়েদুর রহমান। জানা যায়, গত সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে সেবা নিতে এসে চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ কর্মী উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সামিরা মাহমুদ মিথী ও দর্শন বিভাগের রিসাত আরার সঙ্গে রসায়ন বিভাগের সৌরভ দাশের কথা কাটাকাটি হয়। দুজনের বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে কয়েকজন এসে সৌরভকে টেনেহিঁচড়ে সেন্টারের বাইরে নিয়ে মারধর করেন। পরবর্তীতে সৌরভ দাশ ও সামিরা মাহমুদ মিথী প্রক্টর অফিসে পাল্টাপাল্টি অভিযোগপত্র জমা দেয়। সৌরভ দাশ তার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন, ‘অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন অর্থনীতি বিভাগ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ রানা, ছাত্রলীগ কর্মী সৈকত, পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের মিনুন মাহফুজ, মিরাজ হোসাইন, সজীব, সামিরা মাহমুদ মিথী, রিসাত আরা। তারা সবাই শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম আকতার হোসাইনের অনুসারী।’ অন্যদিকে সামিরা মাহমুদ মিথী তার অভিযোগপত্রে বলেন, ‘আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় ১৪ ব্যাচের দর্শন বিভাগের রিসাত আরাকে নিয়ে আমাদের মেডিকেল সেন্টারে যাই। ১৬তম ব্যাচের রসায়ন বিভাগের সৌরভ নামের এক ছেলে আমাদের সঙ্গে বেয়াদবিমূলক আচরণ করে। তারপর অকথ্য ভাষায় গলাগাল ও যৌন হয়রানিমূলক ইঙ্গিত দেয় এবং আমাকে দেখে নেবে বলে হুমকি দেয়।’

তদন্ত কমিটির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, পাল্টাপাল্টি অভিযোগের ভিত্তিতে একটি তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। উপাচার্য মহোদয় দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে সত্য ঘটনা উদ্ঘাটন করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।