সাত জনের মৃত্যু : নিখোঁজ ৩

ডুবে যাওয়া ট্রলার উদ্ধার বাল্কহেড আটক, মামলা

প্রকাশ : ০৭ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি

মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার খিদিরপাড়া ইউনিয়নের ডহরী তালতলা খালে গত শনিবার রাতে ডুবে যাওয়া ট্রলারটি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনো নিখোঁজ থাকা কারো সন্ধান পাওয়া যায়নি। গত শনিবার রাতে সাতজনের মরদেহ উদ্ধার করা হলেও তিনজন নিখোঁজ রয়েছে। গতকাল বেলা পৌনে ১২টার দিকে ডুবে যাওয়া ট্রলারটি উদ্ধার করা হয়। নিখোঁজে থাকা স্বজনদের আহাজারিতে শোকাহত এলাকাবাসী। নিহত হ্যাপি ও পপির ভাই বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। এদিকে, এ ঘটনায় জেলা প্রশাসক মো. আবুজাফর রিপন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শারমিন আরাকে প্রধান করে ৫ সদস্য তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। গতকাল সকালে এ তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে তারা জানান, মর্মান্তিক ঘটনায় এখনো তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বালুবহনকারী বাল্কহেড চলাচলের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সেইসঙ্গে ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। আটককৃত বাল্কহেডটি পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। লৌহজং উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আব্দুল মতিন জানান, শনিবার দিবাগত রাত ২টা পর্যন্ত আমাদের উদ্ধার অভিযান চলমান ছিল। পরে কিছু সময় বন্ধ রেখে রোববার ভোর থেকে আবারো উদ্ধার তৎপরতা চালানো হয়। গতকাল বেলা পৌনে ১২টার দিকে ট্রলারটি উদ্ধার করা হয়। তবে নিখোঁজ থাকা কারো সন্ধান পাওয়া যায়নি। তিনি আরো জানান, গত রাতে সাতজনের মরদেহ উদ্ধার করেছি। এরা সবাই সিরাজদিখান উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নের বাসিন্দা। নিহতরা হলেন- হ্যাপি আক্তার (২৮), তার বোন পপি আক্তার (২৬), রাকিব (১২), তার ভাই সাকিব (৮), মোকসেদা (৪০), সাজিবুল (৫) ও ফারিহান (১০)। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ডা. মো. আব্দুল আউয়াল জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে খালটি দিয়ে বালু বহনকারী বাল্কহেড চলাচল করেছে। আমরা গত বছর বালিগাঁও ব্রিজের নিচে বাঁশ দিয়ে বেরিকেড দিয়েছিলাম। নিষিদ্ধ করা হয়েছিল এসব নৌযান চলাচলের। তিনি আরো জানান, আমরা কঠোর নজরদারিতে রাখব সেইসঙ্গে যদি কেউ এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে খালটি দিয়ে বালু বহনকারী বাল্কহেড চলাচল করে তাহলে তাদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসব। লৌহজং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার ঈমাম হোসেন জানান, আমরা ঘাতক বাল্কহেডটিকে আটক করেছি। ঘটনায় নিহত হ্যাপি ও পপির ভাই মামলার বাদী হয়েছেন। দুপুর ২টার দিকে মামলা দায়ের করা হয়। পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ চলমান রয়েছে। জেলা প্রশাসক মো. আবুজাফর রিপন জানিয়েছেন সরকারের পক্ষ হতে নিহত প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। যাতে করে তারা মরদেহ দাফনের ব্যবস্থা করতে পারে।