প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভা বৈঠক

জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি গঠন করা হবে

প্রকাশ : ০৮ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

সাইবার নিরাপত্তার বাস্তবতায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পরিবর্তন করে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩’ করা হয়েছে। এ আইনের আওতায় জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভা বৈঠকে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদনের পর সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। এর আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে আইনটির খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়।

মন্ত্রিসভায় মোট ১২টি এজেন্ডা আনা হয়। এসব এজেন্ডার মধ্যে উল্লেখযোগ ছিল- বাংলাদেশ অ্যালাইড হেলথ শিক্ষা বোর্ড আইন-২০২৩’র খসড়া, বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী আইনের সংশোধনী খসড়া, প্রত্নসম্পদ আইন-২০২৩’র খসড়া এবং সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩’র খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। এছাড়া বাকি এজেন্ডাগুলো মন্ত্রিপরিষদ সভায় অবহিত করা হয়।

মাহবুব হোসেন বলেন, সাইবার-সংক্রান্ত কিছু অপরাধকে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং সেই অপরাধের জন্য শাস্তির মাত্রা ঠিক করা হয়েছে। আগের আইনের কাঠামোতে মূলত জামিনঅযোগ্য ধারা অনেক বেশি ছিল। এখানে এসে বেশিরভাগকে জামিনযোগ্য করা হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আগে ছিল ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সি। নতুন যেটি হবে, সেটি জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি। এর ক্ষমতা ও দায়িত্ব বিধির মাধ্যমে নির্ধারিত হবে।

তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ সালে অনুমোদনের পর ৫ বছর অতিবাহিত হয়েছে। আমাদের ৫ বছরের অভিজ্ঞতা হয়েছে। অভিজ্ঞতার পাশাপাশি সারাবিশ্বে আইসিটি সংক্রান্ত বিষয় ছিল। সেটির কিন্তু অনেক পরিবর্তন হয়েছে। আইসিটি সংক্রান্ত বিশ্বের যে ব্যাপ্তি কিংবা ধরন, বেশ পরিবর্তন এসেছে।

সেসব বিষয় বিবেচনায় রেখে সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। এ আইন কার্যকর করার সঙ্গে সঙ্গে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন রহিত হয়ে যাবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সাইবার নিরাপত্তার বিষয়টি দেশ এবং আন্তর্জাতিক বাস্তবতায় তৈরি হয়েছে, সেজন্য সরকার মনে করেছে সাইবার নিরাপত্তার জন্য একটি আইন দরকার। সে আইন করতে গিয়ে আগের আইন থেকে কিছু ধারা, কিছু বিষয় এখানে সংযুক্ত করা হয়েছে।

মাহবুব হোসেন বলেন, সাজার ক্ষেত্রে বিদ্যমান আইনে জেলের ওপরে ফোকাসটা বেশি ছিল। এখানে এসে জেলের সাজার পরিমাণটা কমানো হয়েছে কিন্তু আবার আর্থিক জরিমানার অংশ রাখা হয়েছে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে আর্থিক জরিমানা বাড়ানো হয়েছে। বেসিক বিষয় এটিই।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ থেকে এটি নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হয়েছিল। আলোচনার মাধ্যমে লেজিসলেটিভ বিভাগের ভেটিং সাপেক্ষে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। লেজিলেটিভ ভেটিং করে তারপর তারা চূড়ান্ত করে দেবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।