নভেম্বরে তফসিল ঘোষণা ডিসেম্বরের শেষে ভোট

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নভেম্বরে তফসিল দিয়ে ডিসেম্বরের শেষের দিকে ভোট করতে চায় সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। এ লক্ষ্যে রাজনৈতিক দল ও পর্যবেক্ষক নিবন্ধন এবং সীমানা নির্ধারণসহ প্রায় সব কাজ শেষ করেছে ইসি। গতকাল বুধবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেন, নির্বাচনি ব্যবস্থাপনা অ্যাপস নভেম্বরের মধ্যে চালু করা হবে। যেহেতু ওই সময়ে নির্বাচনের তফসিল ঘোষিত হয়ে যাবে, ওই সময়ে অনলাইনে মনোনয়ন জমার ব্যবস্থা রাখা হলে তা চালু করতে হবে। এ নির্বাচন কমিশনার জানান, ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে বা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ভোট করতে হলে নভেম্বরে তফসিল ঘোষণা করতে হবে। অন্তত ৪০ থেকে ৪৫ দিন সময় রেখে তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি নিতে হবে। সেক্ষেত্রে ডিসেম্বরে তফসিলের সম্ভাবনা নেই, নভেম্বরের দ্বিতীয়ার্ধে তফসিলের আভাস দেন তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ডিসেম্বরে (তফসিল ঘোষণা) যাওয়া যাবে না। আমরা বলেছি, ডিসেম্বরের শেষ থেকে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ভোটের কথা। কাজেই ডিসেম্বরে তো যেতে পারব না, অন্তত ৪৫ দিন আগেই তফসিল দেয়া হবে। আশা করা যায়, সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়ে গেলে সিইসি যে সময়ের কথা বলেছেন, ওই সময়ে তফসিল দেওয়া যাবে। নভেম্বর মাসে যথাসময়ে তফসিল দেওয়া হবে। অ্যাপস নিয়ে ইসি মো. আানিছুর রহমান বলেন, নির্বাচনি ব্যবস্থাপনা অ্যাপস নভেম্বরের মধ্যে চালু করতেই হবে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা, ভোটার, দল, প্রার্থী, প্রতীক, ছবি ও ভোটকেন্দ্রের তথ্য জানানোসহ একগুচ্ছ সেবা দিতে ‘নির্বাচন ব্যবস্থাপনা অ্যাপস’ নির্মাণের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

তফসিলের আগে নির্বাচনি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপস চালু করতে হবে, তা না হলে এটা চালু করলাম কেনো- প্রশ্ন রাখেন আনিছুর রহমান। তিনি বলেন, অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমাসহ নানা বিষয়গুলো এ অ্যাপে থাকবে। যে অবস্থায় রয়েছে আমাদের খুব বেশি সময় লাগবে না, নভেম্বরে চালু করতে পারব।

সাম্প্রতিক সময়ে গণমাধ্যমে দেওয়া সিইসির বক্তব্যের সূত্র ধরে আনিছুর রহমান বলেন, সিইসি তো বলে দিয়েছেন- ওই সময়ের মধ্যে তফসিল হবে। আপনার জানেন, তিনি নভেম্বরের কথাই তো বলেছেন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে হতে পারে, তা স্পষ্ট করে না জানালেও গত ৩০ জুলাই প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিুল আউয়াল বলেছেন, অক্টোবরের আগে তারা তফসিল দিচ্ছেন না। তিনি বলেন, এটা নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনাও হয়নি, সিদ্ধান্ত হয়নি।

সাংবাবিধানিকভাবে ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারির আগের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। সেক্ষেত্রে ১ নভেম্বর শুরু হবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ক্ষণগণনা। নির্বাচন কর্মকর্তারা বলেছেন, প্রথা অনুযায়ী, ভোটের তারিখের আগে ৪০-৪৫ দিন সময় রেখে তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। এক্ষেত্রে মনোনয়নপত্র জমা, বাছাই, প্রত্যাহারের সময় ও প্রতীক বরাদ্দের পর প্রচারের জন্য সময় রাখা হয়।