ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

নির্বাচনমুখী আওয়ামী লীগ

নির্বাচনমুখী আওয়ামী লীগ

নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়ে বিরোধীদের দাবি উপেক্ষা করে ভোটের আয়োজন করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী নভেম্বরে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার কথা জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনিসুর রহমান। এদিকে সংবিধানের আলোকেই ভোটে লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। বিএনপি-জাতীয় পার্টিসহ নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নেবে এমনটাই ধারণা করছে দলটি। তবে বিএনপি বর্তমান সরকার অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না বলে জানিয়েছে। রাজপথের বিরোধী দলটি সরকার পতনের আন্দোলন জোরদারের কথা ভাবছে। তবে ভোটের প্রস্তুতির পাশাপাশি বিএনপির আন্দোলন মোকাবিলায় রাজপথে সবর থাকার কথা জানিয়েছে আওয়ামী লীগ। আন্দোলন মোকাবিলা আর ভোট প্রস্তুতি নিতে বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কাজ করছে দলে নেতাকর্মীরা।

জানা গেছে, চলতি বছরের ডিসেম্বরে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে, এমনটি ধরে নিয়েই নির্বাচনমুখী হয়েছে আওয়ামী লীগ। ভোট প্রস্তুতি নিতে গেল ৬ আগস্ট তৃণমূলের সব স্তরের নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে বিশেষ বর্ধিত সভায় করে দলটি। বর্ধিত সভায় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে দলের নানা ধরনের নির্দেশনা দেন আওয়ামী লীগ প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বর্ধিত সভায় মূলত নির্বাচনের বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন তিনি।

নির্বাচনকে সমানে রেখে দলের নেতাকর্মীদের একে-অপরের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়ি বন্ধের আহ্বান জানানো হয় বর্ধিত সভায়। পাশাপশি দলের তৃণমূলে কোন্দল সমাধানে বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকদের দিকনির্দেশনা দিয়েছেন শেখ হাসিনা। দ্বন্দ্ব মিটিয়ে সবাইকে নৌকার পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বার্তা দিয়েছন তিনি। ভোট প্রস্তুতির বার্তা নিয়ে এলাকায় ফিরেছেন তৃণমূলের নেতারা। ভোটার তালিকা, ভোট কেন্দ্র নিয়েও যাতে জেলা-উপজেলায় প্রস্তুতি থাকে, সেদিকেও লক্ষ্য রাখছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। নির্বাচনের আগে পুরো সময় সরকারের উন্নয়ন-অর্জন প্রচারে ব্যস্ত থাকবে দলটি। আগামী নির্বাচনে ফের নৌকাকে জেতাতে ঘরে ঘরে ভোট চাইবেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, দল হিসেবে সবসময় নির্বাচনের জন্য আমাদের প্রস্তুতি থাকে। আওয়ামী লীগ জন্মলগ্ন থেকে নির্বাচনমুখী রাজনৈতিক দল। নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে জনমত প্রতিফলিত হোক-এমনটাই আমরা চাই। গণমুখী নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়েই এই দেশের মানুষের সার্বিক কল্যাণে উন্নয়ন অগ্রগতির জন্য আওয়ামী লীগ কাজ করে। সেই ধারাবাহিকতায় আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে আমরা কাজ শুরু করেছি। নির্বাচনকে সামনে রেখে তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের কাছে ছুটে যাবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। ফের দলকে জেতাতে ঘরে ঘরে গিয়ে সরকারে উন্নয়ন-অর্জন প্রচার করা হবে। বিএনপির নির্বাচন বর্জনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা যেকোনো দলের রাজনৈতিক দায়িত্ব। আমরা আশাকরি নিবন্ধিত সকল রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নেবে। নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিএনপি তাদের জনপ্রয়িতা যাচাই করে দেখুক। যারা জনগণের রায় পাবে, তারা নির্বাচিত হবে; দেশ পরিচালনা করবে। কেউ নির্বাচন বাধা দিতে আসলে, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তাদের প্রতিহত করা হবে। বিনা চ্যালেঞ্জে কাউকে জনগণের জানমাল নষ্ট করতে দেওয়া হবে না। নির্বাচনে জনগণ অংশগ্রহণ করবে। আওয়ামী লীগের ত্রাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন বলেন, সংবিধানের আলোকেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ভোট প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। পাশাপশি বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলন মোকাবিলায়ও রাজপথে আমাদের সরব ভূমিকা থাকবে। আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে ভোট ও আন্দোলনে কোনো অপশক্তি পরাজিত করতে পারবে না।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত