ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

নেমে যাচ্ছে বন্যার পানি, ভেসে উঠছে ক্ষত চিহ্ন

নেমে যাচ্ছে বন্যার পানি, ভেসে উঠছে ক্ষত চিহ্ন

কক্সবাজারে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে গতকাল বুধবার ভোর পর্যন্ত বৃষ্টি হয়নি। গতকাল ভোরে হালকা বৃষ্টি হলে তা বেশিক্ষণ স্থায়ী ছিল না। এ পরিস্থিতিতে নামতে শুরু করেছে বন্যাকবলিত এলাকার পানি। এখন পর্যন্ত বন্ধ আছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের সরাসরি যান চলাচল। তবে আনোয়ারা-বাঁশখালী-পেকুয়া আঞ্চলিক মহাসড়ক দিয়ে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার যান চলাচল করছে। পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভেসে উঠছে ক্ষত চিহ্ন। কোথাও মহাসড়ক, সড়ক, কাঁচা রাস্তা, আবার কোথাও কালভার্ট, ভেঙে ক্ষত-বিক্ষত হয়ে গেছে। বীজতলা, ফসলের মাঠ, মাছের ঘের, বেড়িবাঁধ, ঘর ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান যেন লন্ডভন্ড হওয়ার দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। পানি নামতে শুরু করলেও ঘরে ফিরে নতুন

শঙ্কায় কবলিত এলাকার মানুষ। রান্না করে খাবার কোনো পরিবেশ নেই। তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির। গতকাল সকালে চকরিয়া উপজেলার পানিতে ডুবে থাকা কিছু সড়কের দৃশ্যে দেখা মিলে ভাঙনের তীব্রতা। কাঁকড়া-মিনাবাজার সড়কটির ৩ কিলোমিটার এলাকায় কমপক্ষে ৫০টি ভাঙন সড়কটিকে চলাচল অনুপযোগী করে দিয়েছে। ওই এলাকার বৃদ্ধ রহিম উদ্দিন জানিয়েছেন, চার দিন ধরে কমপক্ষে ৪-৫ ফুট পানিতে বন্দি ছিলেন তারা। পানি ক্রমাগত নেমে যাচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে সড়কের ভাঙন, ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত, ফসলি জমি ও মাছের ঘেরের ক্ষতি দেখা যাচ্ছে। যাদের বাড়িঘর এখনো রয়েছে তাদেরও বাড়িতে গিয়ে রান্না করার সুযোগ নেই। বাড়ির ভেতরে পানি বের করার চেষ্টা করছেন। খাবার পানিও পাওয়া যাচ্ছে না। এলাকার জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় লোকজন ও সরেজমিন দেখা যায়, জিদ্দাবাজার-কাকারা-মানিকপুর সড়কের কয়েকটি অংশে ভাঙন রয়েছে। মাতামুহুরী নদীর নিকটবর্তী গ্রামের বসতঘরগুলো বিধ্বস্ত হয়েছে নানাভাবে। চকরিয়া ও পেকুয়ায় বেশ কয়েকটি বেঁড়িবাধ ভেঙে লোকালয়ে মিশে আছে পানি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত