সংবাদ সম্মেলনে আব্দুর রাজ্জাক

ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক অনেক উঁচুতে

প্রকাশ : ১১ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

ভারতের সঙ্গে এই মুহূর্তে বাংলাদেশের সম্পর্ক অনেক উঁচুতে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস দমনসসহ নানা বিষয়ে বাংলাদেশ ও আওয়ামী লীগের সাথে কাজ করতে আগ্রহী বিজেপি।

গতকাল বিকালে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের ভারত সফর নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। দলের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য মেরিনা জাহান কবিতা, দলীয় সংসদ সদস্য আরমা দত্ত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ভারতীয় জনতা পার্টির আমন্ত্রণে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি প্রতিনিধি দল গত ৬ থেকে ৯ আগস্ট পর্যন্ত ভারত সফর করে। ৬ আগস্ট আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল ভারতের দিল্লিতে পৌঁছায় এবং ৭ ও ৮ আগস্ট বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ ও বিজেপি নেতা ও ভারত সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন। তিনি আরো বলেন, ৭ আগস্ট সকালে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রেসিডেন্ট শ্রী জগত প্রকাশ নাড্ডার সঙ্গে তার বাসভবনে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। অত্যন্ত আন্তরিকতাপূর্ণ বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক বিষয়ের মধ্যে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, জঙ্গিবাদ দমন ও আঞ্চলিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়। বিজেপি প্রেসিডেন্ট শ্রী জেপি নাড্ডা বলেন, তার দল এ অঞ্চলে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও সন্ত্রাস দমনের স্বার্থে অতীতের মতো আগামীতেও বাংলাদেশ ও আওয়ামী লীগের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। দুপুরে বিজেপির প্রধান কার্যালয়ে বিজেপির জেনারেল সেক্রেটারি শ্রী বিনোদ তড়ের সঙ্গে বৈঠক হয়। অত্যন্ত আন্তরিকতাপূর্ণ বৈঠকে শ্রী বিনোদ তড়ে বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের বর্তমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। আমাদের দুই বন্ধুপ্রতীম দল এ সম্পর্ক অটুট রাখতে কাজ করে যাবে।

বিকালে ভারতের পার্লামেন্টে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. শ্রী জয় শঙ্করের সঙ্গে তার দপ্তরে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে ড. জয় শঙ্কর বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে দুই দেশের মধুর সম্পর্ক যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি উচ্চতায়।

৮ আগস্ট ভারতের পার্লামেন্টের লিডার অব দি আপার হাউজ (রাজ্য সভা) ও বাণিজ্যমন্ত্রী শ্রী পীযূষ গয়াল এবং ভারতে জি-২০ সম্মেলনের কো-অর্ডিনেটর ও ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শ্রী হর্ষবর্ধন শ্রিংলার সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। রাজ্য সভায় বিজেপির দলনেতা শ্রী পীযূষ গয়াল বৈঠকে আশা প্রকাশ করেন, এ অঞ্চলের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার মাধ্যমে বাংলাদেশের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। তিনি আরো বলেন, খাদ্যশস্য রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞার কারণে বাংলাদেশ যাতে কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে বিষয়টি ভারত সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করবে। একই সঙ্গে ভারত যাতে বাংলাদেশ থেকে আরও পণ্য আমদানি করতে পারে, সেজন্য তিনি আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের কাছ থেকে সক্রিয় সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন এবং বাংলাদেশের রপ্তানিযোগ্য পণ্যের তালিকা প্রস্তাবের অনুরোধ জানান।

বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতির দেশগুলোর জি-২০ ফোরামের ভারতের কো-অর্ডিনেটর শ্রী হর্ষবর্ধন শ্রিংলার সঙ্গে অনুষ্ঠিত পৃথক বৈঠকে তিনি আগামী ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর ভারতে অনুষ্ঠিতব্য জি-২০ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণের বিষয়টি উল্লেখ করেন।

এছাড়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল ভারত সফরকালে বিজেপির মহিলা সংগঠন মহিলা মোর্চা, যুব সংগঠন যুব মোর্চা ও ভারতীয় গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং বিজেপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক কমিটি। আয়োজিত ভোজ সভায় যোগদান করেন। প্রতিনিধি দলের সদস্যরা নয়াদিল্লির ওয়ার মিউজিয়াম পরিদর্শন করেন।