ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে চায় বিএনপি

১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমু
ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে চায় বিএনপি

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেছেন, বিএনপি নির্বাচনকে ভয় পায়, গণতন্ত্রকে ভয় পায়, ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে এ দেশের রাজনীতিতে হত্যা, ক্যু ষড়যন্ত্রের সূচনা করেছিল। তারা (বিএনপি) গণতন্ত্রের পেছনে ছুরিকাঘাত করে আবারও ক্ষমতায় আসতে চায়। গতকাল বিকালে ঢাকা উত্তরার আমিন কমপ্লেক্সের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর ১৪ দল আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, কারো দয়ায় শেখ হাসিনা ক্ষমতা আসেননি। দেশের মানুষের ভোটে বারবার ক্ষমতায় এসেছেন। জনগণের ভোটে বারবার নির্বাচিত হয়ে তিনি সরকার গঠন করেছেন। আমু বলেন, ২০১৩-১৪ সালে তারা আন্দোলন শুরু করেছিল। প্রতিদিন নিরীহ মানুষ মারা যেত। ২০১৩-১৪ সালে নির্বাচনে সাধারণ মানুষ যখন তোমাদের প্রত্যাখ্যান করল, তোমরা অগ্নি-সন্ত্রাসের আশ্রয় নিলে। তোমরা রাতের অন্ধকারে মানুষ হত্যা শুরু করলে, বোমা মেরে অগ্নি সন্ত্রাস করে শত শত মানুষকে আহত করলে, হত্যা করলে, তোমরা হাজার হাজার গাছ কেটে মানুষের পথ চলার পথ বন্ধ করার চেষ্টা করলে, ব্যর্থ হয়েছ, পারনি। আজকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সরকার গঠন হয়েছে। আমির হোসেন আমু বলেন, শেখ হাসিনা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার করেছেন, জাতীয় চার মূলনীতি আবার সংসদের সংবিধানে স্থাপন করেছেন। আজকে অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করেছেন। এগুলো তারা (বিএনপি) সহ্য করতে পারে না। ১৪ দলের এ মুখপাত্র বলেন, শেখ হাসিনা যখন পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে সব সূচকে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, আজকে সারা বিশ্ব যখন বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল বলে, তখন তাদের গাত্রদাহ হয়। পাকিস্তানের আত্মাদের গাত্রদাহ হয়। সেই গাত্রদাহের কারণে শেখ হাসিনাকে আঘাত করতে চায়। শেখ হাসিনাকে তাদের সহ্য হয় না। আমির হোসেন আমু বলেন, ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের মধ্যে দিয়েই এদেশে হত্যার রাজনীতির শুরু হয়েছে। হত্যাকারীদের পুরস্কৃত করেছে জিয়া। রাজনীতির সুযোগ দিয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। দেশের উন্নয়নে বিএনপির গাত্রদাহ হয়। তারা শেখ হাসিনার অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে চায়। আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান বলেন, বিএনপি নির্বাচন প্রস্তুতি না নিয়ে ২০১৩-১৪ সালের মতো নৈরাজ্য ও আগুন সন্ত্রাসের পথে হাঁটছে। সংবিধান অমান্য করে নির্বাচন করতে শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করার দাবি করছে বিএনপি। নির্বাচন কমিশন বাতিলের দাবি জানাচ্ছে। দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র। নির্বাচনকে সামনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিসানীতি দিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন চিঠি দিচ্ছে। তারা বলছে বাংলাদেশে নাকি মানবাধিকার নেই। অথচ বাইডেনকে কেউ হত্যার হুমকি দিলে তাকে গুলি করে হত্যা করছেন, তখন মানবাধিকার লঙ্ঘন হয় না। বাংলাদেশে জঙ্গি দমন করলেও নাকি মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়। বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া বলেন, বিএনপি-জামায়াত আবারও অনির্বাচিত সরকার এনে দেশের উন্নয়ন অগ্রগতিকে থামিয়ে দিতে চায়। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, বিএনপিকে বলতে চাই আগুন নিয়ে খেলবেন না। বিশৃঙ্খলা করলে জনগণকে নিয়ে দাঁতভাঙা জবাব দেয়া হবে। নির্বাচন যথা সময়ে হবে, সেই কে আসলো কে আসলো না, সেটা দেখার বিষয় না। নির্বাচন হবেই। ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার, আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃনাল কান্তি দাস, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি, স্থানীয় সংসদ সদস্য হাবিব হাসানসহ ১৪ দলের নেতৃবৃন্দ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত