শোকাবহ আগস্ট

বাবা-মায়ের আদর্শের প্রতীক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রকাশ : ১৪ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের কন্যা। মা-বাবার দুইজনেরই গুণাবলি পেয়েছেন তিনি। মুজিব দম্পতির জ্যেষ্ঠ সন্তান হওয়ার কারণে তিনি তুলনামূলক বেশি সময় পেয়েছেন বাবা-মায়ের সান্নিধ্য। তিনি পিতামাতার মধ্যে যা কিছু দেখেছেন, ততটুকুই ধারণ করার চেষ্টা করেছেন। ব্যক্তিগত সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবনে তার প্রতিফলন তিনি ঘটাচ্ছেন। অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর অঙ্গীকার গ্রহণের মধ্যদিয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণের আত্মপ্রত্যয়ে তিনি অবিরাম কাজ করে যাচ্ছেন। দৃঢ়তা, দূরদর্শিতা, অপসহীনতা ও অদম্য মনোবল নিয়ে দেশ পরিচালনার পাশাপাশি দলীয় নেতাকর্মীদের খোঁজখবর নেয়াকে জীবনের ব্রত হিসেবে বেছে নিয়েছেন শেখ হাসিনা। বাবা-মায়ের মতো দলীয় নেতাকর্মীদের বাইরে ভিন্ন মতের মানুষের প্রতিও তিনি যথার্থ সমান ও গুরুত্ব দেন। তাদের যে কোনো প্রয়োজনে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন। সামাজিক সুরক্ষা বলয় তৈরি করার জন্য শুধু বীর মুক্তিযোদ্ধাকে পাকাবাড়ি দেয়াই নয়, ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের জন্য পাকাবাড়ি তৈরি করে দিয়েছেন। দেশের প্রতিটি সিটি করপোরেশন, পৌরসভা জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত মসজিদ নির্মাণের ঘটনা বিশ্বে প্রথম। নদীভাঙনের শিকার ভূমিহীন পরিবারের জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে গড়ে তুলেছেন আশ্রয় কেন্দ্র। তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক ভাতা ২০ হাজার টাকা বাড়িয়েছেন এবং খেতাবপ্রাপ্তদের ভাতা বাড়ানোর পাশাপাশি তাদের সুযোগ-সুবিধাও বৃদ্ধি করেছেন। বয়স্কভাতা, স্বামী পরিত্যক্তা ভাতা, বিধবা ভাতা, তৃতীয় লিঙ্গে সদস্যদেরও ভাতার আওতায় এনেছেন। প্রতিবন্ধী ভাতা ও দুগ্ধপোষ্য মায়ের জন্য বিশেষ ভাতার ব্যবস্থাও করেছেন। শুধু অর্থনৈতিক-সামাজিক সুরক্ষাই নয়, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব কাটিয়ে উঠতে ব্যাপক সবুজায়ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। বঙ্গবন্ধু কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা ও তাদের উচ্চতর শিক্ষার সুযোগ প্রসারিত করতে বৃত্তির ব্যবস্থা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত মানবিক গুণাবলির বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে বাংলাদেশে আশ্রয় দেয়ার মধ্যদিয়ে। শরণার্থী হওয়ার বেদনা তিনি জানেন। কেন না, ১৯৭১ সালে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে প্রায় ১ কোটি মানুষ ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। ভারত সরকার তাদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করেন। শেখ হাসিনা অকাতরে বিলিয়ে দিয়েছেন পিতার শেষ সম্পদটুকু। ৩২ নম্বর বাড়িটি এখন বঙ্গবন্ধু জাদুঘর, সরকারি সম্পত্তি। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকার বাইরের জীবনে নিজের জন্য রাজধানীতে তার কোনো আবাসন ব্যবস্থা নেই। শেখ হাসিনার কখনো কখনো বলে থাকেন, রাজনৈতিক জীবন থেকে অবসর নেয়ার পর তিনি ফিরে যাবেন শ্যামল-নীলিমায় সমৃদ্ধ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায়। যেখানে চিরনিন্দ্রায় শায়িত রয়েছেন জাতির পিতা। নির্বাসিত জীবন শেষে তিনি যখন বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখেন, তখন কোথায় উঠবেন, সেটাও তার জানা ছিল না। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতির সব স্বপ্ন ধূলিস্যাত ও ভবিষ্যতের অগ্রযাত্রা অনিশ্চিত হয়ে যায়। তবে তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শত বাধাবিপত্তি পেরিয়ে বাবা-মায়ের আদর্শকে আঁকড়ে ধরে বাঙালি জাতির জন্য সোনার বাংলা গড়ে তোলার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। দুখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। বাস্তবিক অর্থে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন অব্যাহত রাখা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কোনো বিকল্প নেই। দেশের সব প্রগতিশীল শক্তি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি সুখী-সমৃদ্ধ, অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলবে, এটাই জাতির প্রত্যাশা।