ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

জানাজা নিয়ে সংঘাত

কক্সবাজারে ছয় মামলায় আসামি ১২ হাজার

কক্সবাজারে ছয় মামলায় আসামি ১২ হাজার

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় কক্সবাজারের ছয়টি মামলা হয়েছে। এই ছয়টি মামলায় ৪৬৬ জনের নাম উল্লেখসহ ১১ হাজার ৯০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে পুলিশ বাদী হয়ে পাঁচটি এবং চকরিয়ায় নিহত মোহাম্মদ ফোরকানের স্ত্রী বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। এর মধ্যে পুলিশের পাঁচটি মামলা বিশেষ ক্ষমতা আইন ও সরকারি কাছে বাধা প্রদানের দায়ে। নিহতের স্ত্রীর মামলাটি হত্যা মামলা।

গতকাল বুধবার রাত ৮টায় এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহাফুজুল ইসলাম।

তিনি জানানা, গত মঙ্গলবার বিকালে পুলিশের সাথে জামায়াত সমর্থকদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। জানাজা শেষে তাদেরকে ফিরে যেতে বললে এই ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশের ওপর হামলা, ভাঙচুর চালানো হয়। এ ঘটনায় কক্সবাজার সদর থানায় ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে ২ হাজার ২০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে পুলিশ মামলাটি করেন। এই মামলার বাদী ও আসামির নাম প্রকাশ করতে রাজি নন তিনি। তবে কক্সবাজার সদর থানার একটি সূত্র জানিয়েছেন, কক্সবাজার সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহ নেওয়াজ বাদী হয়ে এই মামলা করেন।

পুলিশ সুপার মাহাফুজুল ইসলাম জানিয়েছেন, চকরিয়ায় সংঘর্ষের ঘটনায় পৃথক তিনটি মামলা হয়েছে। এতে দুটি মামলার বাদী পুলিশ। অপর মামলাটির বাদী নিহত ফোরকানের স্ত্রী নুরুচ্ছফা। পুলিশ বাদী হয়ে দায়ের করা মামলা দুটিতে ৭৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আড়াই হাজার করে মোট ৫ হাজার জনকে। নিহতের স্ত্রীর মামলায় কারো নাম উল্লেখ নেই। আড়াই হাজার জন অজ্ঞাত আসামি।

এক্ষেত্রে এসপি পুলিশের মামলার বাদী নাম প্রকাশ করেননি। তবে চকরিয়ার থানার সূত্র বলেছে, এই দুটি মামলার বাদী উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আল ফোরকান। এসপি জানিয়েছেন, পেকুয়ায় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে দুটি মামলা করেছে, যেখানে ১৫১ জনের নাম উল্লেখ করে ১ হাজার ১০০ জন করে মোট ২ হাজার ২০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। পেকুয়া থানার ওসি মোহাম্মদ ওমর হায়দার জানিয়েছেন, পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে এই দুটি মামলা করেন। পকুয়া থানার একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, পেকুয়ায় দায়ের হওয়া মামলা দুটি প্রধান আসামি করা হয়েছে পেকুয়া সদর জামায়াতের আমির ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান মঞ্জু। উল্লেখদের মধ্যে বারবাকিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাওলানা বদিউল আলম জিহাদি, পেকুয়া উপজেলা জামায়াতের আমির আবুল কালামের নাম রয়েছে।

তবে ছয়টি মামলায় এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার দেখায়নি পুলিশ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত