ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বঙ্গবন্ধু ছিলেন ধীরস্থির ও চৌকস মানুষ

বঙ্গবন্ধু ছিলেন ধীরস্থির ও চৌকস মানুষ

প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন খুব ধীরস্থির ও চৌকস মানুষ। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু এমন একজন মানুষ ছিলেন, যিনি লক্ষ্য পূরণে খুব ধীরস্থির ও চৌকস ছিলেন। এই মানুষটির দৃঢ় মনোভাবের কারণে পাকিস্তানি শাসকরা পর্যন্ত তাকে সমীহ করত।’

সজীব ওয়াজেদ জয় গত মঙ্গলবার নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে এ কথা লিখেন। প্রধানমন্ত্রীর সন্তান জয় বলেন, ২৪ ঘণ্টা গোয়েন্দা নজরদারির মধ্যে থেকেও বঙ্গবন্ধু ‘বাঙালির মুক্তির সনদ’ ৬ দফা বাস্তবায়নে সারাদেশে জনমত সৃষ্টি করতে পেরেছিলেন। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতেও পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর সদস্যরা হামলা করেছিল ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কের বাসায়। সেদিনও বীরদর্পে তাদের সামনে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন- ‘স্টপ শ্যুটিং’! পাকিস্তানিরা ভড়কে গিয়েছিল সেই মহান নেতার ব্যক্তিত্বের কাছে। প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, ’৭১-এর ডিসেম্বরে বিজয় অর্জনের পর, বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে ৩ বছরে বাংলাদেশকে আবারো গড়ে তুলেছিলেন। একদিকে প্রায় শূন্য ব্যাংক রিজার্ভ, অন্যদিকে ভাঙাচোরা রাস্তা-ব্রিজ-কালভার্ট-বাড়িঘর। সেই পরিস্থিতিতে তরুণদের, মুক্তিযোদ্ধাদের কাজে লাগিয়ে বঙ্গবন্ধু সবকিছু পুনর্গঠিত করেছিলেন। চালু করে ফেলেছিলেন কলকারখানাগুলো।

সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, আন্তর্জাতিক মহলের প্রায় সব বড় ফোরামে নতুন রাষ্ট্রকে যুক্ত করেছিলেন তিনি। জাতিসংঘ, ওআইসি, কমনওয়েলথ সবাই বাংলাদেশকে সাদরে গ্রহণ করেছিল এই মহান নেতার ক্যারিশমায়।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু যখন সব প্রতিকূল পরিবেশ অতিক্রম করে দেশকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন, দেশের প্রবৃদ্ধির হার তখন ১১% এর ওপরে, ঠিক তখনই পুরোনো শত্রুরা এক হলো, প্রতিশোধ নিতে চাইল ১৯৭১-এর পরাজয়ের। ৭১-এর পরাজিত দেশীয় ও আন্তর্জাতিক শক্তি ঘাতকদের সাহস দিল, পালানোর পথ করে দিল, বাংলাদেশ স্বৈরাচারের কবলে পতিত হলো। সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, জাতির পিতার মৃত্যুর পর ধ্বংস হয়ে গেল অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের স্বপ্ন।

শুধু জনরোষের ভয়েই দেশকে আনুষ্ঠানিকভাবে কট্টর ইসলামিক রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করতে পারল না উগ্রবাদীরা। তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট, সেই ৩২ নম্বরের বাড়িতে ভোরের আজানের কিছু আগেই হামলা করেছিল বর্বর ঘাতকরা। বাংলার স্বাধীনতার অন্যতম প্রতীক ধানমন্ডির ৩২ নম্বর ভেসে গেল রক্তে। বাংলার মানুষকে ভালোবাসার নির্মম প্রতিদান দিল বেঈমান মোশতাক-জিয়া এবং দলছুট মেজরদের খুনি চক্র। সজীব ওয়াজেদ জয় লিখেন, ‘আজ ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সকল শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত