ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ইউরোপ-আমেরিকার নেতারা দাওয়াত ছাড়াই চলে আসেন

ওবায়দুল কাদের
ইউরোপ-আমেরিকার নেতারা দাওয়াত ছাড়াই চলে আসেন

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ইউরোপ-আমেরিকার নেতারা ঘুরে ঘুরে বাংলাদেশে কেন? আমরা তো তাদের দাওয়াত করি না, তারা দাওয়াত ছাড়াই চলে আসেন। পাকিস্তানে তো আরো আগে নির্বাচন, সেখানে যান। তারা সেখানে যাবে না, এসে শুধু আমাদের ওপর ভিসানীতি প্রয়োগ করবে। ভিসানীতি প্রয়োগ করা হবে নির্বাচনে হস্তক্ষেপকারীদের ওপর। গতকাল দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-ছাত্র কেন্দ্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ আয়োজিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতাসহ ১৫ই আগস্টের শহীদদের স্মরণে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি আমাদের ফ্যাসিবাদী বলে, কিন্তু ফ্যাসিবাদের জ্বলন্ত উদাহরণ তারাই। বিএনপি ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র সৃষ্টি করেছিল, শেখ হাসিনা সেটা নির্মূল করেছে। বিএনপি গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে, দেশের কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। তাদের মুখে দুর্নীতির কথা শোভা পায় না, কারণ তারা দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন ছিলো। যারা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে তারাই এখন গণতন্ত্রের কথা বলছে। অবস্থা এমন হয়েছে, আমরা বলি ঠাকুর ঘরে কে রে- তারা বলে, আমি কলা খাই না। ফখরুল সাহেব, দুনিয়ার কোথাও এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার নেই, তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাইলে পাকিস্তানে যান। কাদের বলেন, আমরা তো চাই নির্বাচন সুষ্ঠু হোক কিন্তু বিএনপি চায় নির্বাচন সহিংস করতে, নির্বাচনে বাধা দিতে। তাদের বেলায় তো কোনো ভিসানীতি প্রয়োগ করা হচ্ছে না। শেখ হাসিনা ইউরোপ-আমেরিকার ‘ভারত মহাসাগরীয় পরিকল্পনা’ ফাঁস করায় আমাদের দিকে নজর দিয়েছে, আমাদের উপর ভিসানীতি প্রয়োগ করেছে। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের স্মৃতিচারণ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতি রাষ্ট্রের নির্ভেজাল স্রষ্টা ছিলেন বঙ্গবন্ধু। পলাশীর ময়দানে যেমন সিরাজ খুব কাছের সেনাপতিদের জন্য পরাজিত হয়েছিলেন, বঙ্গবন্ধুও ১৫ আগস্ট নিজের কাছের মানুষ দ্বারাই শহীদ হয়েছিলেন। মোহনলাল যেমন সিরাজের পক্ষে লড়াই করে প্রাণ দিয়েছিলেন ঠিক তেমনি কর্নেল জামিল বঙ্গবন্ধুকে বাঁচাতে এসে শহীদ হয়েছিলেন। পলাশীর ইয়ার লতিফের সঙ্গে ৭৫ সালের জিয়ার পূর্ণ মিল রয়েছে। পৃথিবীর ইতিহাসে কোনো নজির নেই যেখানে অন্তঃসত্ত্বা নারী ও শিশুরা টার্গেট হয়েছিল। কিন্তু এত কিছুর পরেও কিছুটা দেরিতে হলেও আজ বাংলাদেশের পথচলা স্বাভাবিক হয়েছে। তারেক রহমানকে উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, সাহস থাকলে আপনি দেশে আসুন, রাজপথে ফয়সালা হবে। আদালতের রায় অনুযায়ী, তারেক রহমানের কোনো বক্তব্য অনলাইনে দেওয়া নিষিদ্ধ কিন্তু সেটা অমান্য করে তিনি প্রতিদিন অনলাইনে বক্তব্য দিচ্ছেন। কানাডার আদালত পাঁচজন ব্যক্তিকে টেররিস্ট বলেছে যারা দেশের বৈধ সরকারকে পতনের চেষ্টা করছে, তার একজন হলো তারেক রহমান। গণতন্ত্রের লেবাসধারীদের তৎপরতা কি আপনারা দেখেন না? এই টেররিস্টদের বিরুদ্ধে আমাদের যুদ্ধ; যেখানে আমাদের সবাইকে শামিল হতে হবে। আলোচনা সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়নের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের সঞ্চালনায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বক্তব্য প্রদান করেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত